বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৯/
০৬/ ২০১৭ স্থানঃ – কলকাতা ট্রেনপথ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে সত্যকেই
দর্শন করতে হবে তবেই অন্তর থেকে মিথ্যা অন্ধকার দূরীভূত হবে।]
বেদযজ্ঞ করে
সত্যকে দর্শন করতে হবে দুইটি ভূমিকা থেকে। একটি মানবীয়, অপরটি ঈশ্বরীয়। যে বাড়িটাই
ভাড়াটিয়া বাস করে, সেই বাড়ীটার খোঁজ নিতে গেলে কিন্তু ভাড়াটিয়ার খবরই যথেষ্ট নয়।
ভাড়াটিয়ার যে সত্ত্ব বা স্বামীত্ব সবই মালিকের অধীন, ইহা জানা প্রয়োজন। বাড়ির
মালিক যতই দূরে থাকুক, তাঁর স্বামীত্ব ঐ বাড়িতেই কাজ করে ভাড়াটিয়ার সত্তাকে
ছাপিয়ে। শ্রুতিও সেটাই বলেছেন—“ ঈশা বাস্যমিদং সর্ব্বং যৎ কিঞ্চ জগত্যাং জগৎ” – ঈশ
উপনিষদ । এই গতিময় জগতের মধ্যে যত কিছু গতিশীল বস্তু সবই ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। এদের
সকলের সত্তাকে ছাপিয়ে – আচ্ছাদন করে বিরাজমান আছে ঈশ্বরের সত্তা। আমরা গীতা পাঠ
করলে ভাড়াটিয়ার খবর যেমন পেতে পারি, তেমনি বাড়ীর মালিকের খবরও পেয়ে থাকি। মালিকের
সাথে দেখা হয়ে গেলেই সত্য দর্শন হয়ে গেল। এই সত্যকে দর্শন করার জন্য অবশ্যই
সুষ্ঠুভাবে ধ্যানপর- যোগী হয়ে বেদযজ্ঞের দ্বারা জ্ঞানী হতে হবে। সমস্ত অহংকার
ত্যাগ করে নিজেকে ভাড়াটিয়া মনে করে মানবিক দিকটাকেও ফুটিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই দেহজাত
কাম- ক্রোধ- লোভ- মোহ- মদ ও মাৎসর্য মনকে স্পর্শ করতে পারবে না। জয় বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment