বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৫/ ০৬/ ২০১৭ স্থানঃ—পাটিয়া*
ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে নিজ অঙ্গজ্যোতির মধ্যেই চৈতন্যের প্রকাশ
ঘটাও বিষ্ণুর পরম ধামে গমন করার জন্য।]
বিষ্ণুর পরমধাম যেতেই হবে তোমাকে তাঁর দেওয়া এই
দেহরথে চেপে। তিনি পুরীতে শয়নে আছেন এবং সেই শয়নে থেকেও সবকিছুই তিনি চালনা করে
চলেছেন নিজের ধাম থেকে। সবার অঙ্গজ্যোতির মধ্যেই তিনি নিত্য বিরাজিত। সাবিত্রী মন্ত্র এই জ্যোতিকে ভর্গঃ বলেছেন। এই
জ্যোতি বস্তুতঃ পরম চৈতন্যের জ্যোতি। অন্ধকারে আলো দেয় প্রদীপ। প্রদীপ নিভে গেলে
আলো দেয় চন্দ্র। চন্দ্র অস্ত গেলে সূর্য। সূর্য না থাকলে আলো দেয় কে? শ্রুতি উত্তর
দিয়েছেন—আলো দেয় চৈতন্য। চৈতন্যের আলোই আলো। জীবের আত্মা সেই চৈতন্যের কণা।
শ্রীভগবান বিষ্ণু চৈতন্যময় বস্তু। তিনি চৈতন্যের আধেয়। তিনি চৈতন্যের আধার। তিনি
পরম চৈতন্যঘন বিগ্রহ। তাই সর্বদা নিজের উজ্জ্বলতায় নিজে প্রকাশমান। তাঁর বিন্দুর
বিন্দু নিয়ে চন্দ্র, সূর্য অগ্নি আলো দিয়ে বেড়ায়। তিনি জ্যোতির্ময়, জ্যোতিস্বরূপ।
তিনি ভিন্ন সমস্তই তমোময়। অজ্ঞানাধারের পরপারে তিনি জ্যোতিঃ। তাই তো ঋষির
প্রার্থনা--- “তমসো মা জ্যোতির্গময়” অন্ধকার হতে আমাকে আলোতে নিয়ে যাও। স্বপ্রভায়
চিরপ্রোজ্জ্বল তিনি। তাঁর ধামই তিনি। এটাই জীবের পরম স্থান, চরম সাধ্যভূমি।
বেদযজ্ঞ করে নিজের অঙ্গজ্যোতির আলোতেই আলোকিত হয়ে সকলকেই যেতে হবে সেই পরমধামে
অর্থাৎ বিষ্ণুধামে, যেখানে তিনি শয়নে রয়েছেন অনন্তনাগকে শয্যা করে বক্ষে লক্ষ্মীকে
ধারণ করে অনন্ত কোটি ব্রহ্মাণ্ডের পরমেশ্বর হয়ে। জয় বেদযজ্ঞের জয়।
বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৫/ ০৬/ ২০১৭ স্থানঃ—পাটিয়া* ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা*
No comments:
Post a Comment