বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৯/ ০৪/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করবে জ্ঞান- ভক্তি- বিশ্বাসকে অন্তরে দৃঢ়
করে, ভুলেও অহংকার বশতঃ কাউকে ঠাট্টা- তামাশা করতে যাবে না।]
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপা লাভ হবেই বেদযজ্ঞ করলে।
তাঁর কৃপায় মানুষ নিজের ঘরে, নিজের পরিবারে তাঁকে বিভিন্নরূপে লাভ করে থাকেন।
যদুরাজার কুলে যদুবংশে ভগবান অবতীর্ণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম দুই মহান
শক্তিরূপে। এই যাদবকুলের লোক সংখ্যা কত ছিল তা কেউ গণনা
করে বলতে পারতেন না। যে গৃহাচার্যগণ
যাদবকুমারদের ধনুর্বিদ্যা শিক্ষা দিতে তৎপর থাকতেন, তাঁদের সংখ্যা ছিল তিন কোটি
অষ্টাশি লাখ, তাহলে সেই মহাত্মা যাদবদের গণনা করা কার পক্ষে সম্ভব? যেখানে হাজার
হাজার এবং লাখ লাখ সংখ্যায় সর্বদা যদুরাজ উগ্রসেন অবস্থানরত ছিলেন। দেবাসুর-
সংগ্রামে যেসব মহাবলী দৈত্য মারা গিয়েছিলেন, তাঁরা মনুষ্যলোকে উপদ্রবকারী রাজা হয়ে
জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের বিনাশ করার জন্য দেবতাগণ যদুবংশে জন্মগ্রহণ করেন, যাতে
একশত এক বংশ ছিল। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভুত্ব করতেন। এই সমস্ত
যাদব তাঁর নির্দেশ অনুসারেই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। এই বিশাল বংশ মুনি- ঋষিদের
সাথে ঠাট্টা- তামাসা করতে গিয়ে সামান্য কারণে ধ্বংস হয়ে যায়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ –
ভগবান বলরাম ও রাজা উগ্রসেন কেউই শতবুদ্ধি খাটিয়েও যদুকুলকে রক্ষা করতে পারেন নি।
তাই মানুষ যতই মহান হন না কেন কাউকে তুচ্ছজ্ঞান করে তাঁর সাথে ঠাট্টা- তামাশা করতে
গেলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment