Sunday, 2 April 2017

বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ-- ০২/ ০৩/ ২০১৭

বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০২/ ০৪/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে যাও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত হয়ে তিনিই সব পাপ- তাপ ধৌত করে হৃদয়কে শুদ্ধ করে দেবেন।]
 সনাতন ধর্ম – ভাগবত ধর্ম- গৃহস্থাশ্রম ধর্ম সকল মানুষ সহজেই পালনে সমর্থ হয় ভক্তি- শ্রদ্ধা সহকারে বেদ যজ্ঞের আসরে প্রতিদিন যোগদান করলেই। বেদ যজ্ঞ প্রেমি ভক্ত যদি অন্য সকল চিন্তা, আস্থা, বৃত্তি ও প্রবৃত্তি ত্যাগ করে অনন্যচিত্তে নিজ নিজ প্রিয়তম ভগবানের পাদপদ্মের ভজনা করে, বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তাঁর গুণকীর্তন করে, তাহলে প্রথমত তার দ্বারা পাপকর্মে লিপ্ত হওয়া সম্ভবই হয় না; তবুও যদি কোনো কারণে সে পাপকর্মে যুক্ত হয়ে পড়ে তাহলে তার হৃদয়ে অবস্থিত পরমপুরুষ ভগবান শ্রীহরি সেইসব ধৌত করে হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে দেন। বিরাট –পুরুষের মুখ থেকে সত্ত্বপ্রধান ব্রাহ্মণ, বাহুদ্বয় থেকে সত্ত্ব- রজ প্রধান ক্ষত্রিয়, ঊরুদ্বয় থেকে রজ- তম প্রধান বৈশ্য এবং চরণদ্বয় থেকে তম প্রধান শূদ্রর উৎপত্তি। তাঁরই ঊরুদ্বয় থেকে গৃহস্থাশ্রম, হৃদয় থেকে ব্রহ্মচর্য, বক্ষস্থল থেকে বাণপ্রস্থ এবং মস্তক থেকে সন্ন্যাস—এই চতুরাশ্রমের সৃষ্টি। এই চতুর্বর্ণ এবং চতুরাশ্রমের জন্মদাতা ভগবান স্বয়ং। তিনিই এদের স্বামী, নিয়ামক এবং আত্মাও। অতএব এই সকল বর্ণে ও আশ্রমে নিবাসকারী যে ব্যক্তি ভগবানের ভজন- কীর্তন করে না বরঞ্চ তার বিপরীত অনাদর করে; সে নিজ স্থান, বর্ণ, আশ্রম এবং মনুষ্য যোনি থেকেও পতিত হয়; তার অধঃপতন অনিবার্য। চার বর্ণের মানুষ ও তাদের জন্য চার আশ্রম একই ভগবানের দেহ থেকে উৎপত্তি হয়ে তাঁকেই আশ্রয় করে রয়েছেনতাই এখানে কেউ অশ্রদ্ধার বা ছোট- বড় হতে পারে না। সকলেই নাম সংকীর্তনের সুযোগ নিয়ে বেদ যজ্ঞ করে নিজের অধঃপতন রোধ করতে পারে। জয় বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।

No comments:

Post a Comment