বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৭/ ০৪/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ আসরে গোপীদের ন্যায় উচ্চস্বরে “ধন্য কৃষ্ণ –
ধন্য কৃষ্ণ” বলে ধ্বনি দিয়ে যাও, তাতেই সাধনায় সিদ্ধিলাভ করবে।]
বেদযজ্ঞ
আসরে যোগ দিয়ে যমুনাতীরে শ্রীকৃষ্ণ দর্শনে এসে কেউ নিরাশ হয়ে ফিরে যায় না। কবে
বেদযজ্ঞ আসরে রাসক্রীড়া আরম্ভ হয়েছে তা আজও মহাধুমধাম সহকারে চলছে এবং শ্রীহরির
হাত গোপীদের চুম্বন পেয়ে পুলকাবলিরূপ ধান্য উৎপত্তির জন্য স্বেদরূপ জলের মেঘ
সৃষ্টি করে চলেছে। এই রাসলীলার বিরাম নেই। শ্রীকৃষ্ণ যত উচ্চকণ্ঠে রাসোচিত মধুর
সঙ্গীত বাঁশির সুরে সুর মিলিয়ে করে চলেন ততই গোপীরা উচ্চস্বরে “ধন্য কৃষ্ণ – ধন্য
কৃষ্ণ” বলে ধ্বনি দিতে থাকেন। ভগবান আগে আগে সকলকে অন্ধকার রাত্রিতে পথ দেখিয়ে
নিয়ে চলেন এবং গোপীরা তাঁর পিছনে পিছনে চলেন। রাসলীলা শেষে ফেরার সময় গোপীরা আগে
আগে এবং ভগবান তাঁদের পিছনে পিছনে সঙ্গ দিয়ে চলেন। এইভাবেই শ্রীকৃষ্ণ প্রেমী গোপ-
গোপীরা অনুলোম ও প্রতিলোম গতিতে শ্রীহরিকে সঙ্গ দিয়ে আসছেন যুগ- যুগান্তর ধরে।
শ্রীমধুসূধনও এইভাবে চিরকাল জীবের সাথে রাসক্রীড়া করে চলেছেন এবং তাঁকে ছাড়া এক
মুহূর্তও গোপীদের কাছে মনে হতো এক কোটি বছরের সমান। এই রাসপ্রিয় গোপীগণ মাতা-
পিতা- পতি- ভাই ইত্যাদি বাধা দিলেও রাত্রেও শ্রীশ্যামসুন্দরের সঙ্গে বিহার করতেন।
শ্ত্রুহন্তা অমেয়াত্মা শ্রীমধুসূদনও নিজের কিশোরকাল মনে করে রাত্রেও তাঁদের সঙ্গে
বিহার করতেন। কারণ অন্ধকার রাত্রিতেই তো জীব আলোর সন্ধান করেন। সেই সর্বব্যাপী
ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে, তাঁদের পতিদের সঙ্গে, সমস্ত প্রাণীদের
আত্মস্বরূপের সঙ্গে বায়ুর মতো ব্যাপ্ত হয়ে আছেন- ছিলেন ও থাকবেন। যেমন আকাশ, অগ্নি, পৃথিবী, জল,
বায়ু ও আত্মা সমস্ত প্রাণীতে ব্যাপ্ত হয়ে আছে, তেমনই তিনিও সর্বপ্রাণী ও পদার্থে
ব্যাপ্ত। জয় বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।।
No comments:
Post a Comment