বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৭/ ০১/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ থেকেউঠে আসা পরম জ্ঞানের আলো—সবারই জন্য
মঙ্গলময়, কিন্তু যারা অবিশ্বাসী- অজ্ঞ- পাপ কাজে রত তারা কিভাবে বেদ যজ্ঞের সুফল
লাভ করবে?]
যারা নিজের অন্তরের দৈবশক্তিকে বিশ্বাস করতে শিখেনি
তারাই অবিশ্বাসী এই বিশ্বের বুকে। এই অবিশ্বাসী লোকেরা সদায় সন্দেহবাতিক মনের হয় এবং
অন্যের
বিশ্বাসের
প্রতি
আঘাৎ
হানে।
যে
সব
লোক
অন্যায়-
পাপ
কাজ
করছে
তারা
কি
এই
মনে
করে
নিয়েছে
যে,
তাদের
ঈশ্বর
বা
আল্লা
তাদেরকে
এই
পাপ
ও
অন্যায়
কাজের
জন্য
পুরষ্কার
দিবেন?
তাদের
জীবন
ও
মৃত্যু
একই
রকম
হয়ে
যাবে—তাদের চলার পথ যে কত খারাপ তা সেদিন জানতে পারবে। তাই আমরা যখনি বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে বেদ যজ্ঞ করতে শুরু করবো তখনি আমাদের সমস্ত সংকীর্ণতা অন্তর থেকে মুছে যাবে। আমরা আর
কাউকে বড় - কাউকে ছোট দেখতে পাবো না। বেদ যজ্ঞ কুণ্ড থেকে কেবল মহাসত্য উঠে আসবে অমৃত হয়ে। ইতি পূর্বেও হাজার হাজার ধর্ম গ্রন্থ উঠে এসেছে মানুষের অন্তরের ভগবানের নিকট থেকে। কিন্তু কালের কবলে সেগুলি নিজেদের বিশ্বাস যোগ্যতা ও সত্যতা হারিয়ে বিলীন হয়ে গেছে। কারণ এই
ব্রহ্মাণ্ডের সাগরে মানুষ যত ডুব দিবে তত মহারত্ন স্বরূপ মহাসত্য মানব জাতির মঙ্গলের জন্যে উঠে আসবে। তাই মানুষ যদি পুকুর থেকে একটা রত্ন পেয়ে যুগ যুগ ধরে সেইটাকেই সত্য বলে মনে করে আঁকড়ে ধরে থাকে তবে গভীর সাগরের রত্ন দেখার আর তার সৌভাগ্য হবে না। এই পৃথিবী যেমন স্থির নয়
তেমনি মানব জীবনের সভ্যতাও এক জায়গায় স্থির থাকে না
। ছোট গণ্ডী থেকেই মানুষের চলা শুরু হয় বিশালত্বের দিকে। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment