বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২১/
০১/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করেই মানুষকে সনাতন
ধর্মের শ্রেষ্ঠতম আদর্শ ঋষিত্বলাভ করতে হয়।]
সনাতন ধর্মের
প্রবর্তক স্বয়ং স্রষ্টা বা ঈশ্বর। এই ধর্মের উপর ভিত্তি করে এই পৃথিবীর বুকে মানব
সমাজে বিভিন্ন ধর্ম মতের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক ধর্মের প্রবর্তককে শ্রেষ্ঠ
ব্যক্তি বলে মনে করা হয়ে থাকে এবং সেই মহানের জীবনাদর্শ সেই ধর্মের অনুবর্তীদের
নিকট মানবজীবনের উচ্চতম স্থল বলে মনে করা হয়ে থাকে। এক কল্পের অর্জিত জ্ঞানের
সংস্কার নিয়ে পরবর্তী কল্পে উচ্চতর অধিকারী হয়ে কেউ কেউ কোথাও আবির্ভূত হন, তাঁরা
মহাপুরুষ, তাঁরাই ঋষি। ঋষিদের দৃষ্টিশক্তি অতীন্দ্রিয়। এই সকল ঋষিগণ হিন্দু ধর্ম –
সভ্যতা- সংস্কৃতির ভিত্তিভূমি সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। ঋষিদের জীবন ও
চরিত্র সনাতন ধর্মের মানুষের পাথেয় হয়ে রয়েছে যুগ যুগ ধরে। একইভাবে যীশুখৃষ্টের
জীবন- আদর্শ –চরিত্র খ্রিষ্টধর্মমতের মানুষের কাছে আদর্শস্বরূপ ও প্রিয়। সেইভাবেই
ইসলাম ধর্মমতের শ্রেষ্ঠ পুরুষ হজরত মোহাম্মদের জীবন- আদর্শ ও চরিত্র তাঁদের নিকট
পাথেয়। এই বিশ্বে সবায় নিজ নিজ ধর্মের প্রবর্তকের মত ও পথকে শ্রেষ্ঠ বলে মানেন
কিন্তু খুব কম লোকই রয়েছেন যারা সেই সব মহাপুরুষের আদর্শকে মান্য করে নিজের
চরিত্রকে ঋষিতুল্য করে গড়ে তোলার প্রয়াস চালান। ভারতের মাটিতে এখনো সেই প্রয়াস
চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধর্মীয় মঠ- মন্দির- গুহায় হাজার হাজার যোগী- মুনি- ঋষিগণ।
জয় বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment