Monday, 2 January 2017

বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ-- ০২/ ০১/ ২০১৭

বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০২/ ০১/ ২০১৭ স্থানঃ—মথুরাপুর* মানিকচক* মালদা*পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-[ বেদ যজ্ঞ করে সহস্রারতে স্থির হয়ে উজ্জ্বল শিবলিঙ্গ হয়ে অবস্থান করো।]
 বেদ যজ্ঞ করেই মানুষকে মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ, আজ্ঞা চক্র অতিক্রম করে সহস্রার বিন্দুতে উপস্থিত হতে হয়। আজ্ঞাচক্রের কিঞ্চিত ঊর্ধ্বে শুদ্ধ, জ্ঞান, জ্ঞেয়, প্রদীপশিখাবৎ, জ্যোতির্ময়, ওঁকারাত্মক অন্তরাত্মা নিরন্তর বাস করেন। তার উপর অর্ধচন্দ্র, তার উপর বিন্দুরূপী নাদ, তথায় শক্তিরূপাধার স-কারাত্মক পূর্ণ শশধরের ন্যায় উজ্জ্বল শিবলিঙ্গ আছেন। ঐ ওঁকারের উপরিভাগে দ্বিভুজ মহানাদ নামে শিবাকার বায়ুর লয় স্থান আছে। উক্ত আজ্ঞাচক্রের ঊর্ধ্বদেশে শঙ্খিনী নাম্নী নাড়ীর অগ্রে আকাশে বিসর্গরূপ যুগল বিন্দু আছে। তার অধঃতলে পূর্ণেন্দুর ন্যায় শুভ্রবর্ণ, তরুণতপন- রশ্মি সদৃশ কেশরযুক্ত সহস্রদল পদ্ম অধোমুখে আছে। এই সহস্রার যথাস্থানে পঞ্চাশৎ মাতৃকা বর্ণ আছে। ঐ স্থানে নির্মল শশঃ ও চন্দ্র বিরাজ করছেন। ঐ চন্দ্র- অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ-আকার ত্রিকোণ যন্ত্র আছে, ঐ যন্ত্রের মধ্যে গুহ্যতম চিদ্রুপাকার শূন্য স্থান আছে, তথায় পরমাত্মার স্বরূপ পরম শিব বিরাজ করছেন। তিনি যোগানন্দ জ্ঞান ও মঙ্গলদাতা। তাঁকে পরমহংসও বলা হয়। এই স্থানেই শৈবের কৈলাশ, বৈষ্ণবের গোলক, শাক্তের মহাশক্তির নিজাবাস। এই সহস্রদল পঙ্কজের ভিতর প্রাতঃ তপনের ন্যায় লোহিতবর্ণ, মৃণাল সূত্রবৎ অতি সুক্ষ্ম এবং বিদ্যুৎ মালার ন্যায় জ্যোতিঃ বিশিষ্টা, শুদ্ধা বিকারবর্জিতা এবং নিত্য-প্রকাশ্য, ক্ষয়োদয়- রহিতা, অধোমুখী এবং পূর্ণানন্দ শ্রেণী হতে যে অমৃতধারা ক্ষরণ হচ্ছে তা ধারণশীলা, একদ্ভুতা অমা নাম্নী শশিকলা আছে। এর মধ্যে কেশাগ্রের সহস্রাংশ পরিমিত এবং অর্ধ চন্দ্রাকার, দ্বাদশ আদিত্য প্রভা বিশিষ্টা, প্রাণীগণের ইষ্ট দেবতা, নির্বাণ নাম্নী কলার মধ্যে কোটিসূর্য – কান্তিমতী শিবলিঙ্গ হতে প্রেমধারা বিলাসিনী কর্মফলদায়িনী নির্বাণ শক্তি আছেন। ঐ নির্বাণ শক্তির মধ্যভাগে যোগী ও মহাত্মাদিগের চিন্তনীয় পরম সুখময় নিত্যানন্দ স্বরূপ শাশ্বত তুরীয় ব্রহ্ম আছেন। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment