বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—০৬/ ০৫/ ২০১৭ স্থানঃ—ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ- [ বেদযজ্ঞ করে অন্তরে
বেদজ্ঞান ও গীতার জ্ঞান ধরে রেখে সংসার করো যোগী হয়ে।]
বেদ – গীতা-
উপনিষদ –পুরাণের শিক্ষা কেবল ত্যাগী, তপস্বীদের জন্যই নয়, তা সংসারী, গৃহী
মানুষদের মধ্যেও প্রসারিত। এই সকল শাস্ত্রগ্রন্থ পাঠ করে সত্যকে উপলব্ধি করে,
সত্যের আচরণ যারা করেন তাঁরাই যোগী। উপলব্ধি এবং আচরণ এই দুটি বিষয়ের উপর সমস্ত
শাস্ত্রগ্রন্থ আলোকপাত করেছেন। আর এ-দুটির যোগসূত্র ভক্তিযোগ। ভক্তি শব্দে যাঁদের
নাসিকাকুঞ্চন হয় তাঁদের কাছে তা বিশ্বাস। এক অর্থে বিশ্বাস ভক্তিরই নামান্তর।
সত্য- সুখের হননকারী জড়বাদের এই উন্নয়নের যুগে যেখানে ঈশ্বর এবং ঈশ্বরীয়
চর্চাকে ব্যর্থ বলা হচ্ছে, সেখানে বেদযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়া বিশাল দুঃসাহসিক কর্ম।
নাস্তিকতার এই প্রবল ঝঞ্জার মধ্যেও ঋষি –মুনি সেবিত এই পুণ্যভূমি ভারতবর্ষের সুদৃঢ়
মূল আধ্যাত্মিক ঘন ছায়াদানকারী বিরাট সনাতন ধর্মের বৃক্ষের শিকড় এখনও শিথিল হয়নি
এবং তাঁকে শিথিল করাও খুব কঠিন কাজ। এখনও ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক জগতে প্রকৃত
জিজ্ঞাসু এবং সাধু স্বভাবের মুমুক্ষ মানুষের অস্তিত্ব আছে; যদিও তাঁদের সংখ্যা কমে
গিয়েছে। তাই আশায় বুক বেঁধে বেদযজ্ঞ করে চলেছি প্রতি গৃহে গৃহে বেদ ও গীতার আলো
জ্বেলে দিয়ে ঘরে ঘরে মানুষকে যোগী করে তোলার আশায়। ধর্মই মানুষকে সংযমী, সাহস,
ধীর, বীর, জিতেন্দ্রিয় এবং কর্তব্যপরায়ণ করে। ধর্মই দয়া, অহিংসা, ক্ষমা,
পরদুঃখকাতরতা, সেবা, সত্য এবং পঞ্চমহাযজ্ঞ সহ ব্রহ্মচর্যের পাঠ শেখায়। তাই
ধর্মযজ্ঞ বা বেদযজ্ঞ নিয়ে পক্ষপাতশূন্য হয়ে গভীরভাবে শান্তচিত্তে চিন্তা করলেই
বুঝতে পারা যাবে—ধর্মযজ্ঞ বা বেদযজ্ঞই আমাদের ইহকাল- পরকালের একমাত্র সহায়ক এবং
সঙ্গী। জয় বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।
No comments:
Post a Comment