বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৪/ ০৫/ ২০১৭ স্থানঃ— ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[
বেদ যজ্ঞ করে কেবল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করে যাও, তাতেই মোক্ষলাভ হবে।]
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় নিজমুখে বলেছেন--- সর্বস্য চাহং হৃদি সংনিবিষ্টো
মত্তঃ -স্মৃতির্জ্ঞানমপোহনং চ । বেদৈশ্চ সর্বৈরহমেব বেদ্যো
বেদান্তকৃদ্বেদবিদেব চাহম।। ১৫/১৫ (গীতা) আমিই সকল প্রাণির হৃদয়ে অন্তর্যামীরূপে
স্থিত এবং আমার দ্বারাই স্মৃতি ও জ্ঞানের উদ্ভব ও বিলোপ হয়ে থাকে। আর সকল বেদের
দ্বারাই আমি জ্ঞাতব্য। বেদান্তের কর্তা এবং আমিই বেদগুলিকে জানি। হে অর্জুন –
শরীররূপ যন্ত্রে আরূঢ় সকল প্রাণির অন্তর্যামী পরমেশ্বর নিজের মায়ার দ্বারা তাদের কর্ম অনুসারে চালিত করেন। তিনি ভূত প্রাণিদের হৃদয়ে স্থিত। ভগবানের
নিজের মুখের কথাকে বিশ্বাস করে নিজের হৃদয়কে ভগবানের মন্দির জেনে সেখানেই কেবল
বেদযজ্ঞ করে যাও জন্মজন্মান্তের স্মৃতি ও
জ্ঞানকে সংগ্রহ করার জন্য। যত বেদ যজ্ঞ করবে ততই অন্তরের ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানতে
পারবে তত্ত্বজ্ঞানের দ্বারা। অবিদ্যা, অস্মিতা, রাগ, দ্বেষ, অভিনিবেশ
(মৃত্যুভয়)--- এই পাঁচটি ক্লেশ থেকে, পাপ- পুণ্য প্রভৃতি কর্ম থেকে সুখ- দুঃখাদি
ভোগের থেকে এবং সকল কামনা থেকে মুক্ত হলেন হৃদয় মন্দিরে অবস্থানরত বেদ ভগবান। তিনি
অতীতে ব্রহ্মারও সৃষ্টিকর্তা এবং শিক্ষক। কেননা তিনি কালের দ্বারা বিচ্ছিন্ন হন
না। তাই বেদ যজ্ঞ করে যার দ্বারা ভূত সকল উৎপন্ন হয় এ--বং সৃষ্ট প্রাণী যার অনুগ্রহে
জীবিত থাকে এবং মৃত্যুর পরে যার মধ্যে বিলীন হয়ে যায়, তাঁকে তুমি জানো।
তিনিই বেদ ভগবান—তাঁকে খুশী করতে পারলেই জগতকে খুশী করতে পারবে। তাঁকে তত্ত্বজ্ঞান
দ্বারা দেখতে পেলেই তত্ত্বজ্ঞানী হয়ে সদায় তাঁর আশ্রয়ে কল্পবৃক্ষের তলে
পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে সব সিদ্ধিই লাভ করবে এবং অভাবমুক্ত জীবন পাবে। জয় বেদ ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের জয়।
No comments:
Post a Comment