বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—০৫/ ০৫/ ২০১৭ স্থানঃ—ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে সর্ববিষয়ে
সমতা বজায় রাখবে, সমতাই হলো জ্ঞানীর প্রধান গুণ।]
গীতাতে যত সদ্ভাব অর্থাৎ উত্তম গুণের কথা বলা
হয়েছে সেগুলির মধ্যে এমন একটি গুণ আছে যা থেকেই মহাপুরুষদের চেনা যায়। সেই গুনটির
নাম ‘সমতা’। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন—যে সদাসর্বদা আত্মভাবে স্থিত, দুঃখসুখকে
সমান জ্ঞান করে, মাটি, পাথর এবং সোনার প্রতি সমমনোভাবাপন্ন, জ্ঞানী, প্রিয় তথা
অপ্রিয়কে একই বলে মনে করে এবং নিজের নিন্দা- স্তুতিতে একই ভাব রক্ষা করে আর যে
মান- অপমানে অচঞ্চল থাকে, শত্রু- মিত্রে সমান থাকে, সকল কাজে কর্তৃত্বাভিমান থেকে
মুক্ত—সেই মানুষকেই গুণাতীত বলা হয়। সমতা হলো সাক্ষাৎ ব্রহ্মের
স্বরূপ তাই সমতাই হলো জ্ঞানীর প্রধান গুণ। গীতা হলো বেদ – উপনিষদ ইত্যাদি গ্রন্থের
সার। পৃথিবীতে গীতার মতন কোনো গ্রন্থ নেই। গীতা যজ্ঞ ও বেদযজ্ঞ একই যজ্ঞ মানুষকে
পবিত্র করে তোলার জন্য। এই গ্রন্থ সমস্ত মত এর উৎকর্ষতা স্বীকার করে। অতএব গীতার
অনুশীলন বেদযজ্ঞের মাধ্যমে এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের আত্মা বেদময় ও গীতাময় হয়ে
যায়। বেদ ও গীতাকে আমাদের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত করা উচিত। গীতা গঙ্গার চেয়েও বড়। কেননা
গঙ্গা বেদ ভগবানের চরণ থেকে নির্গত হয়েছে। আর গীতা ভগবানের মুখকমল নিঃসৃত। গঙ্গা
তো তাতে অবগাহন করলেই পবিত্র করে কিন্তু গীতা ধারণ করলেই গৃহাভ্যন্তরের মানুষকেও
পবিত্র করে দেয়। গঙ্গায় যে স্নান করে সে স্বয়ং মুক্ত হয়ে যেতে পারে; কিন্তু গীতায়
যে অবগাহন করে সে অপরকেও মুক্ত করে দিতে পারে। জয় বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।
No comments:
Post a Comment