বেদযজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৩/ ০৫/ ২০১৭ স্থানঃ-
পাটিয়া* ভুবনেশ্বর* উড়িষ্যা*
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে অর্জুনের ন্যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জীবন
সাথী করে এগিয়ে চলো, তিনি যার রক্ষক, তাঁর ভয় কাকে?]
বেদযজ্ঞ আসরে অর্জুন ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিয়ে
আলোচনা চলছে। এ আলোচনা শেষ কবে হবে –আমিও জানি না। বিশাল কুরুক্ষেত্র-
ধর্মক্ষেত্রে ভক্ত আর ভগবানের আলোচনা, সেই –সাথে বিশাল ক্ষেত্রে বহু রথী- মহারথী,
কিভাবে এই মহাভারত শেষ হতে পারে? ভীষ্ম পাণ্ডবদের সঙ্গে নয়দিন যুদ্ধ করেন, তবুও
তাঁর পরাক্রমে কোনোরূপ শৈথিল্য আসেনি। তিনি প্রত্যহ পাণ্ডবপক্ষের হাজার হাজার বীর
সংহার করতেন। পাণ্ডবেরা তাঁকে হারাবার কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। মহারাজ যুধিষ্ঠির অত্যন্ত করুণাপূর্ণ বাক্যে
তাঁদের কর্ণধার শ্রীকৃষ্ণকে সমস্ত পরিস্থিতি নিবেদন করেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে
সান্ত্বনা দিতে গিয়ে যা বলেন, তাতে অর্জুনের প্রতি তাঁর অসীম ভালোবাসা প্রকটিত হয়।
সেই সঙ্গে অর্জুনের প্রতি তাঁর উচ্চ ধারণাও জানা যায়। শ্রীকৃষ্ণ বলেন—‘ ধর্মরাজ!
আপনি চিন্তা করবেন না। ভীষ্মের মৃত্যু হলেই যদি আপনারা বিজয়লাভ করবেন মনে করেন,
তাহলে আমি একাই তাঁকে বধ করতে পারি। আপনার ভ্রাতা অর্জুন আমার সখা, সম্বন্ধী ও
শিষ্য, প্রয়োজন হলে আমি অর্জুনের জন্য শরীর থেকে মাংস কেটে দিতে পারি, অর্জুনও
আমার জন্য প্রাণ দিতে পারে। অর্জুন উপপ্লব্যতে সকলের সামনে ভীষ্মকে বধ করার
প্রতিজ্ঞা করেছে, তার প্রতিজ্ঞা আমায় রক্ষা করতে হবে। অর্জুন আমাকে যা করতে বলবে,
আমার অবশ্যই তা করা উচিত। অর্জুনের পক্ষে ভীষ্মকে বধ করা এমন কি বড়ো কথা! রাজন!
অর্জুন প্রস্তুত হলে এই অসম্ভব কাজও করতে সক্ষম। দৈত্য ও দাবনসহ সমস্ত দেবতা
যুদ্ধে মুখোমুখি হলেও অর্জুন তাঁদের পরাস্ত করতে সক্ষম, ভীষ্মের তো কথাই নেই’।
সত্যই সমর্থ ভগবান যার রক্ষক এবং সহায়ক সে কী না করতে পারে! [৪র্থ পর্ব] জয় বেদ
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়। জয় বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment