Friday, 9 March 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ২২৩ তারিখঃ-- ০৯/ ০৩/ ২০১৮



 বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২২৩) তারিখঃ—০৯/ ০৩/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-- [ বেদযজ্ঞের মাধ্যমে তোমার পরিবার- পরিজন ও প্রতিবেশীকে শিক্ষা দাও আধ্যাত্মিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গৃহ পরিচালনা করার জন্য।]
গৃহ পরিচালনা করা  প্রজাতন্ত্রের আইন মেনে দেশ পরিচালনার চাইতে কোন অংশে কম নয়। বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরাই পরিবারের প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকেন। তিনিই সবার কাজ ভাগ করে দেন। কাউকে কৃষিকাজ দেখতে হয়, কেউ বাজারহাট করে। এ ভাবেই সকলকে আলাদা আলাদা কাজের দায়িত্ব দিয়ে বাড়ীর সমস্ত কাজ সম্পাদন করানো হয়। প্রশাসন ব্যবস্থায় যেমন আইন কানুন মেনে চলতে হয়, বাড়ীতেও সবাইকে আধ্যাত্মিক সম্পর্কের ভিত্তিতেই নিজেদের কর্তব্যকর্ম পালন করে যেতে হয়। এই সম্পর্ক যত শুদ্ধ ও সাত্ত্বিক হবে বাড়ীর পরিবেশও ততটাই সুখকর হবে।   
 তাই তোমার পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীকে যদি ভালো শিক্ষা না দিতে পারো, তাহলে তাদের জন্যেই তোমাকে নরকের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরতে হবে। সেই আগুন সমাজ, সংসার, দেশ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। তাই সর্ব প্রথমে নিজের পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হয়। তাদের আচার আচরণ, স্বভাব যাতে সকলের গ্রহণযোগ্য হয়, সেই শিক্ষায় তাদেরকে জ্ঞানী করে তুলতে পারলে-সেই স্রোত চলতেই থাকবে সেই পরিবারে।প্রতিটি পরিবারের সদস্য যদি জাতীয় জ্ঞান, মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিক জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সামান্যতম শিক্ষা পায়,-তাতেও শান্তি, ঐক্য, ও সাম্যের প্রতিষ্ঠা হবে। তাই তোমরা প্রতিদিন এক সঙ্গে বসে জ্ঞান চর্চা করো-ভালো ভালো কথাগুলি নিয়ে আলোচনা করো, ঈশ্বর, পরকাল, অদৃশ্য শক্তিকে বিশ্বাস করে তা নিয়ে গবেষণা করতে উৎসাহ দাও, দেখবে তোমাদের পরিবারে কোনোদিন অশান্তি প্রবেশ করতে পারবে না। যে কোন পরিবারে অশান্তির মূল কারণ অজ্ঞান। যে পরিবারে জ্ঞানের আলো জ্বলে সেখানে শয়তান তার বুদ্ধি নিয়ে প্রবেশ করতে পারে না। শয়তান কেবল ভয় করে জ্ঞানের আলো-কে।মানুষের অন্তরে জ্ঞানের আলো জ্বালাতে পারেন একমাত্র ঈশ্বর। তাই যে বাড়ীতে ঈশ্বরের নামে বেদযজ্ঞ  করা হয় সেখানে কেউ শয়তানী বুদ্ধি কাজে লাগাতে পারে না। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে প্রতিটি পরিবারে যাও জ্ঞানের তরী ও বেদযজ্ঞের আলো  নিয়ে। তাদের হাতে জ্ঞানের তরী দিয়ে, সেই তরীতে চেপে থাকতে বলো। এই তরীতে পা রাখার সাথে সাথে তাঁর প্রতি ঈশ্বরের আশীর্বাদ ঝরে পড়বে। তারপরেই তাঁর ভ্রমন শুরু হবে। সপ্তঘর প্রদক্ষিন করার পর তাঁর অন্তরে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলে উঠবে। সেই তরী ঈশ্বরের ঘরে পৌঁছে দেবে সময়কালে। তাই মানবজাতির আশ্রয় এই জ্ঞান তরী ও বেদযজ্ঞ।  তোমরা এই জ্ঞানতরীর কথা ও বেদযজ্ঞের কথা পরিবারের সকল সদস্যকে জানাও। কোনও অন্ধ কুসংস্কারে আবদ্ধ হয়ে আর থেকো না। সমস্ত কুসংস্কার ত্যাগ করে স্বভাবের পরিবর্তন ঘটাও। পরিবারের শক্তিকে সংঘবদ্ধ রূপ দাও মানব জাতির মঙ্গলের জন্য। অনেক দেরি হয়ে গেছে- আর বসে থেকো না তোমার পরিবারকে সত্যজ্ঞানে জ্ঞানী করে তোলো। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment