বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৩৫) তাং ২১/ ০৩/ ২০১৮

    বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৩৫) তারিখঃ- ২১/ ০৩/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-- [বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে শক্তির সাধনা করে তোমরা সনাতন ঐতিহ্যকে রক্ষা কর।]

তোমাদের বিজ্ঞান থেকেও শ্রেষ্ঠ হচ্ছে আত্মবল বা আত্মশক্তি। শক্তি না থাকলে ধ্যান-জ্ঞান কোন কিছুর সাধনা সম্ভব নয়। মানব দেহ শক্তির ঘর ও তার বশ। যার যত শক্তি তার তত জয়। শক্তির সাধনায় হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সাধনা। শক্তিহীন জীবনের মূল্য কেউ দিতে চায় না—তাই এর মূল্য কোথায়?

  সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্মে সঙ্ঘবদ্ধ শক্তিকে ঈশ্বরের শক্তি বলা হয়েছে এবং লোকসংগ্রহ বা লোকশিক্ষার মাধ্যমে শক্তির সাধনা করে ক্ষাত্রবীর্য্যকে জাগ্রত রেখে দেশ ও দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখার কথা বার বার বলা হয়েছে। ভারতবাসী আজ তার সনাতন ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে এবং তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে হীনবল জাতিতে পরিণত হয়েছে। তাই বেদযজ্ঞ করেই এই জাতিকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে হবে।

 জীবের শক্তি বা বল অন্ন বা খাদ্যের উপর নির্ভর করে। খাদ্যেই লুকিয়ে থাকে শক্তি। এই খাদ্য মানুষের দৈহিক ও মানসিক শক্তির জন্য প্রয়োজন। বেদযজ্ঞ করে মানুষের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়, আর ভূতযজ্ঞ করে মানুষের দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই যারা যজ্ঞকে উপেক্ষা করে শক্তির সাধনা করতে যায় তারা মূর্খ। যজ্ঞবলেই সমস্ত খাদ্য উৎপন্ন হয়। আর খাদ্যের উপরই উপোরক্ত সমস্ত সাধনা নির্ভরশীল। অজ্ঞানীরা উপবাস করে শক্তির সাধনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ভগবানের নামে দোষ দেয়। সেই সঙ্গে তাদের সঙ্গে যারা বাস করে তাদেরকেও কষ্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত পাপ সঞ্চয় করে। অন্ন রহস্য যিনি জানেন তিনি-ই শ্রেষ্ঠ উপাসক। তাঁর গৃহে অষ্টলক্ষ্মী, অষ্টসিদ্ধি ও অষ্টনিধি স্থির হয়ে বিরাজ করেন পূর্ণ ব্রহ্ম শক্তি নিয়ে। তাই তোমরা স্থায়ীভাবে সর্বাগ্রে নিজের ও সবার জন্যে অন্ন –বস্ত্র- গৃহের ব্যবস্থা করে সনাতন ধর্ম বা ঐতিহ্যকে রক্ষা করে পবিত্র শক্তি সঞ্চয় কর বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে। তোমাদের জন্যে সত্য ও সনাতন পথ হচ্ছে একমাত্র বেদ যজ্ঞ—এই বেদ যজ্ঞের মধ্যেই তোমাদের অনন্ত জ্ঞান- বিজ্ঞানের শক্তি লুকিয়ে আছে। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।