বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২২২)
তারিখঃ—০৮/ ০৩/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ--[আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জ্যোতি ও পাহাড়ির কথপোকথন বেদযজ্ঞ হয়ে ছুটে চলে দিকে দিকে।]
জ্যোতিঃ—আমার প্রাণপ্রিয়ে পাহাড়ি আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস বলো তুমি এই
শুভদিনে আমার কাছে কি চাও? আমি যদিও জানি তোমার চাওয়ার কিছু নাই আমার কাছে- তুমি
না চাইতেই পেয়ে যাও সবকিছু আমার কাছ থেকে তোমারি মন্ত্রবলে। আমার প্রেমের মন্ত্র
সদায় জাগ্রত আছে তোমার হৃদয়ে জানো তো কোন শক্তিবলে?
পাহাড়িঃ— হাঁ সব জানি আমি। আমাকে যে প্রেমের মন্ত্র দিয়ে পান করাও তোমার মহাবীর্য- তা- যে নারী পান করে তার কি কোন কিছুর চাহিদা থাকতে পারে? গান্ধারী অন্ধ
ধৃতরাষ্ট্রের বীর্য গর্ভে ধারণ করেছিলেন শতপুত্র লোভে আর মাতা কুন্তী পাণ্ডু রাজার
মহাবীর্য প্রাণে ও আত্মায় ধারণ করেছিলেন জ্ঞান মন্ত্র বলে দেবতাদের শক্তিকে
আহ্বান করে। তাঁরা দুজনেই মাতা হবার স্বাদ পেয়েছিলেন এই পৃথিবী স্বরূপ দেহের
অন্তরে ও বাহিরে। আমি চাই এই শুভ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তোমার মহাবীর্য পান করে
কোটি কোটি যুধিষ্ঠির ভীম অর্জুনের মাতা হয়ে এ
পৃথিবীর বুকে আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।
জ্যোতিঃ—মাতা গান্ধারীর পুত্রেরা আজ সারা বিশ্বে রাজত্ব করছে দাপটের সাথে।
দেখতে তো পাচ্ছো দুর্যোধন দুঃশাসনে পৃথিবী ভরে উঠেছে। এই আন্তর্জাতিক নারী দিবস
পালন করছে তারাই—এই অবস্থায় মাতা কুন্তীর পুত্রদের বনবাসেই থাকতে হচ্ছে অতি গোপনে
বিভিন্ন ছদ্ম বেশ ধারণ করে। তাই তুমি আজকে আমার কাছে সঠিক উপহার চেয়েছো কোটি কোটি যুধিষ্ঠির ভীম অর্জুনের
মাতা হবার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এটাই এখন বিশেষ প্রয়োজন তোমার মতো নারীদের জন্যে
মহাবীর্য প্রাণে ধারণ করে মাতা কুন্তীর ন্যায় মহাবীরদের এই পৃথিবী মাতাকে উপহার
দেওয়া। তাহলেই পঞ্চপাণ্ডবের বনবাস থেকে মুক্ত হবার পথ খুলে যাবে—আবার তাঁরা
নিজেদের রাজসিংহাসন ফিরে পাবে।
পাহাড়িঃ—আমার প্রাণের দেবতা জ্যোতি তুমি তো জানো- আমি তোমার মহাবীর্যকে
শ্রদ্ধা করি তাই কখনো তাকে গর্ভে ধারণ করার কথা চিন্তায় করিনা। আমি তোমার
মহাবীর্যকে সদা প্রাণে ও আত্মায় ধারণ করে অমৃত রূপে পান করে তা হৃদয় মন্দিরে ধারণ করে
রাখি। তোমার প্রেমের মন্ত্রের স্ত্রোত সদা প্রবাহিত হয় আমার দেহের প্রতিটি কোষে
কোষে। তোমার বীর্য ও মন্ত্র প্রাণবন্ত তাই যে নারীর প্রাণে এ বীর্য ও মন্ত্র পড়বে
তার ক্ষেত্রেই জন্ম নিবে মহাবীর সন্তান কুরুক্ষত্রের ময়দানে সংগ্রাম করার জন্যে।
জ্যোতিঃ—তুমি তো জানো আমি আজ এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের ক্ষেত্রকে
মাতা কুন্তীর ন্যায় ক্ষেত্র তৈরি করার ডাক দিয়েছি। তাদের তুমি জানিয়ে দাও তারা
সবায় ধরিত্রী মায়ের রূপ নিয়ে অবস্থান করছে জ্যোতির মহাবীর্য পান করে মহাবীর সন্তান
এই পৃথিবীকে উপহার দিয়ে পৃথিবীকে আবর্জনা থেকে মুক্ত করার জন্যে। তোমার মতো হাজার
হাজার পাহাড়ি এগিয়ে এলেই আজকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা সার্থক হবে নচেৎ
ভস্মে ঘি ঢালায় হবে—কাজের কাজ কিছুই হবেনা। তোমাকে যে প্রেমের মন্ত্র দিয়ে
মহাবীর্য পান করায় তা তো তুমি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারো এই নারী দিসবে—কেন
গোগন রেখেছো তোমার আমার প্রেমের কথা।
পাহাড়িঃ—মাতা কুন্তী সামাজিক লজ্জ্ব্বায় তাঁর প্রেম মন্ত্রের প্রথম সন্তান
কর্ণকে নদীতে বিসর্জন দিয়েছিলেন—এই বিসর্জন দিয়েও কি তিনি তাকে ভুলতে পেরেছিলেন?
তাই আমি ভুলি না তোমার প্রেম মন্ত্রের কথা। আমি জানিয়ে দিতে চাই আমার তোমার
প্রেমের কথা সারা বিশ্বের নারী সমাজকে—যাতে তারা সবায় তোমার প্রেম মন্ত্র জ্যোতিকে
অন্তরে ধারণ করে মহাবীর সন্তানের জন্ম দেয় ও কুরুক্ষেত্র ময়দানকে সাজিয়ে তোলে
বিশ্বমানব শিক্ষা মহাযুদ্ধের ময়দান রূপে – যেখানে স্বয়ং পরমপিতা হবেন সব মহাবীর
সন্তানের রথের সারথী।মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কেবল অর্জুনের রথের সারথী
ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ – এই যুদ্ধে সকল মহাবীরের রথের সারথী হবেন পরমপিতা—এই দুই
যুদ্ধের মধ্যে এটাই হবে বিশেষ পার্থক্য। {জয় বিশ্বমানব শিক্ষা
ও বেদযজ্ঞের জয়।}
No comments:
Post a Comment