বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৩০) তারিখঃ—১৬/ ০৩/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞের মাধ্যমে
মূর্তির সাধনা করেই অমূর্তের অমরপীঠে যেতে হয় সাধককে।]
বেদ যজ্ঞ যত করবে ততই তোমরা সনাতন ধর্মের রহস্য বুঝতে পারবে। সনাতন ধর্মের
মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে পারলেই দেখতে পাবে বিশ্বের বুকে মানুষ যে নানা ধর্ম মতের
সৃষ্টি করেছেন, তা কেবল সনাতন ধর্মের সত্যকে জানার জন্য। সনাতন ধর্মে মানুষ
ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টির পূজা করে, বিভিন্নভাবে স্রষ্টাকে জানার জন্য। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য
জীব- জন্তু- গাছ-পালা- জড়বস্তুও সনাতন ধর্মকে মান্য করেই কাজ করে। মানুষকে ঈশ্বর
তাঁদের থেকে উন্নত জীবরূপে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদেরকে স্থুল দেহ, সুক্ষ দেহ ও কারণ
দেহের ঊর্ধ্বে উঠে নিজ আত্মাকে দেখার শক্তি দিয়েছেন। তাই সনাতন ধর্মের মানুষকে
দেখা যায় বেদ যজ্ঞ করতে করতে সীমাহীন অমূর্ত জগতে নিত্যস্থির হয়ে নির্বিকার অমৃতময়
হয়ে যেতে। মূর্তির সাধনা করেই অমূর্তের অমরপীঠে যেতে হয়, বেদের ঋষিদের এই তত্ত্ব
বিজ্ঞানসম্মত বলে ভারতের অনেক তন্ত্রবিজ্ঞানী সাধক স্বীকার করেছেন।বর্তমানকালেও যদি আমরা
হিমালয়ের বুকে যায় তবে অনেক তন্ত্রবিজ্ঞানীর দেখা পাবো, যারা তন্ত্র বলে ভূতযজ্ঞ
করে চলেছেন এবং ভূতাত্মাদের দিয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করিয়ে চলেছেন। সনাতন ধর্মের
উচ্চমার্গের সাধনা তন্ত্রসাধনা, আর এই তন্ত্রসাধনার ক্ষেত্রে সকল সাধকই বেছে নেন
নিজ নিজ সাধনার জন্যে যেকোন দেব- দেবতার মুর্তি। সেই দেবতার সাধনা করেই
তন্ত্রসাধক দেবত্বশক্তি লাভ করে সেই শক্তিবলে ভুতাত্মাদের বশে রেখে, তাঁদের দ্বারা
অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করেন, যা সাধারণ মানুষের চোখে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হবে। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদ যজ্ঞ অভিযানের জয়।
No comments:
Post a Comment