বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(১৩১)
তারিখঃ—১৭/ ০৩/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ দ্বারাই সাধনা
করে নিরাকার ঈশ্বরকে সাকার রূপে দেখতে হয়, তবেই মানবজীবন অনন্ত অসীমের সাথে এক হয়ে
যায়।]
বেদ যজ্ঞ করলেই বেদ ভগবানের সর্বভূতে উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। ঈশ্বর
কথাটির দ্বারা কোন গুণ বা বস্তু বুঝায়। তাঁকে জানার অথবা প্রত্যক্ষ করবার কোনো পথ
আছে কিনা—এ নিয়ে অনেকেই অনেক আলোচনা করেছন। সকলেই স্বীকার করেন যে, ঈশ্বর কথাটির
দ্বারা সর্বব্যাপী বস্তুই বুঝায়। যখন বলি ঈশ্বর সর্বব্যাপী, তখন ঈশ্বরের যে
স্থানব্যাপকতা গুণ আছে তাতে আর কারও সন্দেহ থাকে না। একখানি পুস্তক স্থান ব্যাপিয়া
আছে এজন্য তাকে সাকার বলি, কিন্তু ঈশ্বর স্থান ব্যাপিয়া আছেন, অথচ তাঁকে নিরাকার
বলি এর কারণ কি? যে দ্রব্য কোনো সীমাবদ্ধ স্থান ব্যাপিয়া থাকে, তাকেই সকলে সাকার
বলে জানেন ও বুঝেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ঈশ্বর
কোনো সীমাবদ্ধ স্থান ব্যাপিয়া থাকেন না। এ বিশ্ব যে অনন্ত ও অসীম, ঈশ্বর যে স্থান
ব্যাপিয়া আছেন তার সীমা নেই, তা অনন্ত ও অসীম, এজন্যই তিনি নিরাকার হয়ে সব আকারের
মধ্যেই তো অবস্থান করতে সক্ষম।
যদি বল কল্পনায় বিশ্বের একটি সীমা
দিতে পারি, কিন্তু ঐ সীমা দিয়ে একবার ভাব দেখি, যে ঐ সীমার বাইরে আর স্থান আছে কি
না? ইহা কেউ কখনো ভাবতে পারবে না এবং কারও বুদ্ধিতে আসবে না। এই জন্যই বিশ্বের
সীমা নেই এবং সে কারনেই তিনি নিরাকার। এ বিশ্বে যত স্থান আছে, ততস্থান তিনি
ব্যাপিয়া আছেন, এ জন্যই তিনি নিরাকার। মানুষের জ্ঞান বা বুদ্ধির দ্বারা এমন কোন
বস্তু স্থির করার ক্ষমতা নেই যা দ্বারা তাঁর আকারের তুলনা হয়, সুতরাং তাঁর আকারের
তুলনা নেই বলেই তিনি নিরাকার। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযানের জয়। জয়
বেদভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।
No comments:
Post a Comment