Sunday, 25 March 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ২৩৯ তাং ২৫/ ০৩/ ২০১৮


  বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৩৯) তারিখঃ—২৫/০৩/২০১৮  আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-- [ বেদযজ্ঞের মাধ্যমে রাম- সীতার সমব্যবহার নীতি ভারতবাসীর ঘরে ঘরে  শিক্ষার জন্য একান্ত উপযোগী।]
  ভগবান শ্রীরাম সর্বভূতের আনন্দের প্রতীক এবং সীতাদেবী লক্ষ্মীর প্রতীক। গৃহে লক্ষ্মী না থাকলে আনন্দ থাকে না। আমরা রামায়ণে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রকে দেখতে পাই, অত্যন্ত দয়ালু, ন্যায়শীল ও সমব্যবহার নীতির মানুষ রূপে। তিনি লোকসংগ্রহ বা লোকশিক্ষার জন্যই নিজের জীবনের সমস্ত সুখ- আনন্দ বিসর্জন দিয়েছিলেনপ্রজারা যাতে তাঁকে অনুকরণ বা অনুসরণ করে পথভ্রষ্ট না হন সেদিকে তাঁর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিল। তেমনি সীতাদেবী স্বয়ং লক্ষ্মী হয়েও গার্হস্থ্য ধর্ম মুহূর্তের জন্যও ত্যাগ করেন নি। তিনি সংসারে থেকে শ্বশুর- শাশুড়ী ও বয়োবৃদ্ধদের প্রণাম করা, সেবা যত্ন করার প্রতি সদায় খেয়াল রাখতেন। তিনি ভরত, লক্ষ্মণ এবং শত্রুঘ্ন—দেবরদের সঙ্গে পুত্রের মতো আচরণ করতেন। খাওয়া- দাওয়া ইত্যাদি কোনো ব্যাপারে কোনো পার্থক্য রাখতেন না। স্বামী শ্রীরামের মতো একই প্রকার খাদ্য সকলের জন্যই তৈরী করা হতো। আপাতদৃষ্টিতে এটি ক্ষুদ্র ঘটনা হলেও এই কাজে পার্থক্য আসায়- কেবল খাদ্য বস্তুতে পার্থক্য করায় অধুনা ভারতে হাজার হাজার সম্মিলিত পরিবারে বিষ ছড়াচ্ছে। সীতাদেবীর এই আচরণে নারীদের খাওয়া- দাওয়া ইত্যাদিতে সমব্যবহার রাখার শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত। শ্রীরাম- সীতা ভারতবাসীদের জীবনের আদর্শ হওয়া উচিত। তাঁদের জীবনের শিক্ষাগ্রহণ করলে একটাও পরিবারের একতা – সুখ- স্বাচ্ছন্দ- আনন্দ বিনষ্ট হতে পারে না। রাম- রাজত্বের সুখ প্রতিটা পরিবারেই বিরাজ করবে। জয় সীতারাম – জয় শ্রীরাম।

No comments:

Post a Comment