বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৩৮) তারিখঃ—২৪/
০৩/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞের মাধ্যমেই
প্রচার করতে হবে বেদ – গীতা- উপনিষদ মানবজাতির মধ্যে কোন দল বা সম্প্রদায় গড়ে নাই,
তাই এই গ্রন্থগুলি সার্ব্বজনীন রূপ নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও চির উজ্জ্বল।]
বেদযজ্ঞ করে যে
একবার গীতা- বেদ – উপনিষদের ভিতরে প্রবেশ করেছে, সে আর সেই আলোর জগৎ থেকে বেড়িয়ে
এসে পৃথিবীর কোন শাস্ত্রগ্রন্থের মধ্যে আর সেই আলোর বর্তিকা খুঁজে পাবে না।
পৃথিবীতে অনেক ধর্মগ্রন্থ রয়েছে, সেগুলি কেবল কোন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য রচিত
এবং বিশেষ দল তৈরি করে, নিজ সম্প্রদায়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য রচিত। গীতার থেকে
বাইবেলের বিক্রি বেশী বা অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থের বিক্রি বেশী বাজারে কেনো? পৃথিবীর
বুকে সনাতন ধর্মের পুরোহিতরা গীতা- বেদ – উপনিষদ এর প্রচার নিয়ে মাথা ঘামান না। কিন্তু
পাদ্রীরা বাইবেলের প্রচার, মৌলভীরা কুরআনের প্রচার করার জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ
করে চলেছেন। এই যুগ হলো প্রচারের যুগ। মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার করতে পারলে মানুষ
সত্যকে ত্যাগ করে মিথ্যাকেই ক্রয় করবে। সরকারী অর্থে কোন ধর্মের প্রচার শুরু হলে
তখন দেখা যায় সেই ধর্মের মিথ্যা –অবৈজ্ঞানিক কথাগুলিকেও মানুষকে গিলতে হয়।
ভারতবর্ষ প্রায় তিন হাজারের বেশী বছর পরাধীন ছিল এবং সেই সময় সনাতন ধর্মকে উচ্ছেদ
করার জন্য তৎকালীন রাজারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। বৌদ্ধধর্ম, ইসলাম ধর্ম ও
খ্রিস্টান ধর্মকে বেদপন্থীরা উদারতা দেখাতে গিয়ে সত্য থেকে নিজেরাই বিচ্যুত হয়ে
পড়েন। দীর্ঘকাল এই তিন ধর্মের রাজারা বিশাল ভারতবর্ষে রাজত্ব করেন এবং নিজ নিজ
ধর্মের অধীনে সনাতন ধর্মের প্রজাদের আসতে বাধ্য করেন। সেই সাথে সনাতন ধর্মের
শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি বিভিন্নভাবে আঘাত হানেন। বর্তমানেও সেই আঘাত অব্যাহত
রয়েছে। এখনো গণতান্ত্রিক দেশে ধর্ম প্রচারের জন্য একশ্রেণির ধর্মপ্রচারক সরকারী
তহবিল থেকে উৎসাহ ভাতা মাসে মাসে পাচ্ছেন। অথচ গীতা- বেদ – উপনিষদ যে গ্রন্থগুলি
পাঠ করলে মানুষের জাতীয়জ্ঞান, মানবিক মুল্যবোধ, নৈতিকজ্ঞান ও আত্মিকজ্ঞান বৃদ্ধি
পায় এবং মানুষের সৎ -সত্য- সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপ ফুটে উঠে, সেই সব গ্রন্থকে
বস্তাপচা সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ বলে শিক্ষার জগত থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন রাজনৈতিক
নেতারা। ভারতে এখনো একশো কোটি মানুষ বেদপন্থী বা সনাতন গোষ্ঠীর, তবে কেনো আমরা
নিজেদের ধর্মীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি থেকে পিছিয়ে থাকবো? আসুন আমরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে
আমাদের সত্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরি, তবেই দেখবেন বিশ্বের অন্য ধর্মের সমস্ত ধর্মগ্রন্থ অন্ধকারে হারিয়ে
যাবে । তার কারণ সত্য প্রকাশিত হলেই মিথ্যা হারিয়ে যায়, আলোর পাশে কখনো অন্ধকার
থাকতে পারে না। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment