বিশ্বমানব
শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২২০) তারিখঃ—০৬/ ০৩/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[
বেদযজ্ঞে পবিত্র গীতা অর্থসহ পাঠ করলেই অন্তর ও বাইরের জগতের ব্রহ্মাগ্নি বলয়
প্রজ্জ্বলিত হয়ে কোটি বেদসূর্যের উদয়
ঘটায়।] গীতা মানব জাতির জীবন দর্শন। গীতা কোন দল-মত-ধর্ম-জাতি গড়ে
নাই। তাই তো এই ক্ষুদ্রায়তন গ্রন্থের এত মহিমা। মনে করুন, কোন বন্ধুর গৃহে যাবেন। বের হয়েছেন পথে। কিন্তু চিনেন
না তাঁর বসতি স্থান।
পথচারীদের জিজ্ঞাসা করেন। এক এক জন এক এক পথ দেখাচ্ছেন। সকলেই নিজ পথ ঠিক বলছেন। অন্যপথ ভ্রান্ত বলেও আপনার সামনে মন্তব্য করছেন। আপনি কেবল ঘুরে ঘুরে মরছেন আর বার বার বিভিন্নরূপে জন্ম নিচ্ছেন
বন্ধুর গৃহে যাবার জন্য। ঘুরতে ঘুরতে দৈবক্রমে আপনার দেখা হল, যার গৃহে যাবেন তাঁর সঙ্গেই। তিনি বললেন – আসুন আমার বাড়ীই তো আপনি খোঁজ করছেন। শ্রীগীতা
হল সেই বন্ধুর আবাসস্থল। সমগ্র বেদ- উপনিষদ – বেদান্ত এই গৃহেই শোভা পাচ্ছেন। এই সত্য জানার পরেও কি বন্ধুকে অবিশ্বাস করে অন্য
পথচারীকে জিজ্ঞাসা করবেন নিজের বন্ধুর গৃহে যাবার পথের কথা? বিশ্বমানবের ঈশ্বরের
জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরে যাবার জন্য একটাই পথ তা হলো বেদের পথ, আর এই পথের সুন্দর
মানচিত্র হলো গীতা। এই রাজপথ ধরে চলতে লাগলেই আর কাউকে জিজ্ঞাসা করার কোন প্রয়োজন
পড়ে না পথচারীর বন্ধুর গৃহে পৌঁছানোর জন্য। এই রাজপথ তিনিই তৈরী করে দিয়েছেন সহজে
নিজের ঘরে বন্ধুদের নিয়ে আসার জন্য। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment