Sunday, 11 March 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২২৫) তাং ১১/ ০৩/ ২০১৮

 বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২২৫) তারিখঃ—১১/ ০৩/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-- [ রামভক্ত হয়ে  বেদযজ্ঞ করে যাও তাহলেই ভারতবর্ষকে ‘রামরাজত্ব’ রূপে গড়ে তোলার স্বপ্ন একদিন সত্য হবেই, সেই কাজই শুরু হয়েছে ভারতবর্ষের হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বেদযজ্ঞের মাধ্যমে।]
রাষ্ট্র যদি ইচ্ছা করে সমাজকে শান্তিময় করতে, তাহলে সেই উদ্দেশ্য সাধনে রামায়ণের মতো শক্তিশালী গ্রন্থ আর দ্বিতীয় এ পৃথিবীতে নেই। প্রাচীনকালের ভারতীয় আর্য ঋষিরা ইহা ভালভাবেই জানতেন। আর আজও ইহা একটা বলবার মতো খবর যে, শ্রীরামচরিতমানস বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়ে বিশ্ববাসীর  ঘরে ঘরে স্থান পাচ্ছে। শ্রীরামকে পুরুষোত্তম বলে না মানলেও রামকথা অনুশীলনে যে পুরুষকে উত্তম করে, একথা বিশ্বের সুশিক্ষিত মানবজাতি  স্বীকার করতে শুরু করেছেন। আর মানুষ উত্তম না হলে যে রাষ্ট্র বা সমাজ উত্তম হয় না ইহা সকলেই জানে। বর্তমানে সেই প্রলয়বার্তা নিয়ে “হরে কৃষ্ণ হরে রাম” সুর সারা বিশ্বের আকাশে- বাতাসে ছুটে চলেছেন। “হরে কৃষ্ণ হরে রাম” সুর ভারতের মাটিতেই সীমাবদ্ধ ছিল, এখন সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশে ছড়িয়ে গেছে।  আমরাও বিশ্বাস করি রামভক্ত মহাত্মাগণ ‘ রামরাজত্ব’ ভারতবর্ষের বুকেই কেবল নয় সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করবেন, সেই প্রক্রিয়ায় চলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেতাই বিশ্ববাসীকে দেখেই ভারতবাসী আবার রামায়ণের আদর করতে শিখবেনই। এই শুভদিন আসন্ন বিজ্ঞান, রাজনীতি, ধর্ম, সমাজ, সাহিত্য, দর্শন হাত মিলিয়ে এক মঞ্চে দেখা দিয়ে মানুষকে আরো শক্তিশালী করে দেবত্বের অভিমুখে নিয়ে যাবে। রাজনীতি ও ধর্ম একমঞ্চে না থাকলে, তা লবন বিহীন তরকারির ন্যায় স্বাদহীন হয়ে যায়, কেউ তা রুচিকর খাদ্য বলে গ্রহণ করতেও পারেন না। তাই বর্তমানে রাজনীতি ও ধর্মনীতি মানুষের কাছে অরুচিকর হয়ে উঠেছে। রাজনীতি থেকে ধর্মনীতিকে বাদ দিয়ে যে মার্ক্সবাদ সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন বিশ্ববাসীর কাছে বস্তাপচা আলুর ন্যায় দুর্গন্ধযুক্ত পদার্থে পরিণত হয়েছে। তাই পরিশেষে বলি প্রাচীন গৌরবে ভারত আবার বেদযজ্ঞের মাধ্যমে রামরাজত্বে পরিণত হবে এতে কোন সন্দেহ নেইজয় শ্রীরাম। ভারত মাতার জয়। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযানের জয়।  

No comments:

Post a Comment