Saturday, 26 May 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ২৯৩ তারিখঃ-- ২৬/ ০৫/ ২০১৮


  বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৯৩) তারিখঃ—২৬/ ০৫/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করলেই মানুষ ঋষির চিত্ত লাভ করে এবং সত্যস্বরূপের দর্শনলাভে মানব জীবন ধন্য করে।]
বেদ যজ্ঞ স্থলে বৈদিক যুগের ঋষিরা সকলকে সংঘবদ্ধ করে অগ্নি দেবতার কাছে প্রার্থনা করতেন—“ হে অগ্নি, পরম সম্পদ লাভের জন্য আপনি আমাদিগকে উত্তম মার্গে নিয়ে চলুন। হে দেব, সকল প্রাণীর কর্ম ও চিত্তবৃত্তি আপনার পরিজ্ঞাত, আপনি আমাদের সকল কুটিলতা ও পাপ বিদূরিত করুন। আপনার উদ্দেশ্যে আমরা বহুতর নমস্কার বচন উচ্চারণ করিতেছি। সুবর্ণময় পাত্র দ্বারা আদিত্যমণ্ডলস্থ সত্য পুরুষের মুখ আচ্ছাদিত আছে, তবুও আদিত্য মণ্ডলে যে পুরুষ প্রত্যক্ষ, তাহা কার্যকারণের সংঘাতের দ্বারা প্রবিষ্ট আমি। আকাশের মত ব্যাপক ব্রহ্মের ওঁকারের দ্বারা ধ্যান করিতেছি”। ঋষির কোন দুর্বাসনা বা পাপ নেই। তাই তিনি আমাদিগকে সাথে নিয়ে আমাদের দুরবস্থা ও পাপাজনিত অন্ধকার দূর করার জন্য, আমাদেরকে সাথে নিয়েই সবার কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করতেন। ঋষির সান্নিধ্যে থেকে ত্রি-সন্ধ্যা প্রার্থনা করতে করতেই সবার চিত্ত আকাশের ন্যায় উদার হয়ে উঠতো। দেহ- মন- প্রাণ থেকে পাপ, কুটিলতা ও দুর্বাসনা দূরীভূত হতো এবং আচ্ছাদিত সত্যস্বরূপ বেদজ্ঞান সবার অন্তরে প্রকাশিত হতো। ঋষির সান্নিধ্যে থেকে বেদ যজ্ঞে অংশগ্রহণ করার ফলে সকলের জীবনের সকল অমঙ্গল রাশি দূর হতো এবং সকলেই সত্যস্বরূপের দর্শন লাভ করে ধন্য হতেন। এই বৈদিক সমাজ ব্যবস্থা কালের কবলে ধ্বংস হয়ে যাবার ফলে ভারতীর সন্তানরা সনাতন ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে থাকে ও বাঁচার তাগিদে মনোধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে পথভ্রষ্ট হতে থাকে। এই পথভ্রষ্ট জাতিকে পুনঃ স্বধর্মে ফিরিয়ে আনার জন্যই বেদ যজ্ঞ করেই জাগিয়ে তুলতে হবে ভারতবাসীকে ঋষির মন্ত্র শক্তি দিয়ে। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদ যজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment