বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৮৮) তারিখঃ—২১/ ০৫/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করেই সনাতন ধর্মের শক্তিকে এক প্রণব মন্ত্রে
সঙ্ঘবদ্ধ করতে হবে।]
বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে সনাতন ধর্মকে মানুষ যুগে
যুগে রক্ষা করে এসেছে। এই বেদ যজ্ঞ মন্ত্র হচ্ছে পবিত্র ওঁ- কার ধ্বনি । এই ওঁ- কার ধ্বনি কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের
প্রার্থনার বস্তু নহে, এই মন্ত্র সকলের মঙ্গলকারক পবিত্র ধ্বনি ও পরম শান্তির এক
নীরবতা। ওঁ কোন দেবতার প্রার্থনার মন্ত্র নয়, সমগ্র বিশ্বপ্রপঞ্চের মুল কথা নিহিত
আছে এই ওঁ ধ্বনির মধ্যে। তাই একে একটি স্বর্গীয় বস্তুরূপে মনে করা হয়। ওঁ-ই প্রথম
শব্দ—মহাবিশ্বের প্রথম প্রতীক, প্রথম বিকাশ, বাস্তব সত্তার ঘনীভূত রূপ। এই ওঁ –কার ধ্বনি থেকেই প্রথম মহাকাশের বুকে
সিন্ধু বা সনাতন সাগর সৃষ্টি হয়। সেই সনাতন সাগরকেই অমৃতের সাগর বলা হয়ে থাকে।
সেখান থেকেই বৃষ্টির ধারা নেমে এসে এই পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি হয় সপ্ত সাগর। এই সপ্ত
সাগর-ই সনাতন সাগরের সাথে যুক্ত হয়ে পৃথিবীকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। এই সনাতন
সাগরের অপর নাম সিন্ধু। এই পৃথিবী সপ্ত
সাগর দিয়ে ঘেরা ও সনাতন সাগর বা সিন্ধুর
সাথে এক হয়ে আছেন, তাই এই পৃথিবীর সর্বভূতই সিন্ধু বা হিন্দু নামে পরিচিতি লাভ করে।
তাই এই ওঁ –কার ধ্বনি জীবের প্রতিটি শব্দের সাথে যুক্ত আছে- ছিল- থাকবে, এই ধ্বনি
প্রাণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। তাই ওঁ –কার
এই পবিত্র শব্দ পৃথিবীরও আগে, ইহাই
পৃথিবীর শেষ কথা, ইহাই সারকথা। ইহার নিজস্ব কোন অর্থ নেই, কারণ সমস্ত অর্থের উৎস
এই ওঁ । ইহা একের প্রতীক। এই ওঁ কে বাদ দিয়ে কোন যজ্ঞ বা উপাসনা চলে না। আমাদের
মন- বুদ্ধি- অহংকারকে শাশ্বত ব্রাহ্মণের গুণে পূর্ণ করে তোলেন ওঁ ধ্বনি। এই বিশাল
পরম সম্পদকে ত্যাগ করে হিন্দুরা ক্ষয়িষ্ণু জাতিতে পরিণত হয়ে চলেছে। ওঁ শান্তিঃ
শান্তিঃ শান্তিঃ। হরি ওঁ ।
No comments:
Post a Comment