Tuesday, 15 May 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ২৮২ তারিখঃ-- ১৫/ ০৫/ ২০১৮

   বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৮২) তারিখঃ—১৫/ ০৫/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করলেই পুরুষের আর কেউ নগ্নরূপ দেখতে পায় না, তাছাড়া কে নিজের নগ্নতাকে ঢেকে রাখবে?]
কোনো ব্যক্তিই সদাচার উল্লঙ্ঘন করে সদগতি লাভ করতে পারে না। ঋক, সাম এবং যজুঃ—এই তিনটি বেদ হলো বর্ণের আচরণস্বরূপ। যে ব্যক্তি মোহবশত এই বেদত্রয়ী ত্যাগ করে সেই পাপীকে ‘ নগ্ন’ বলা হয়। হে মহানুভব; সমস্ত বর্ণের সংবরণ বা আবরণীয় বস্ত্র হল বেদত্রয়ী; তাই বেদযজ্ঞ যে ব্যক্তি ত্যাগ করেন, তিনি যে নগ্ন হয়ে পড়েন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই মানব দেহ সাধন দেহ জেনে মানুষ হৃদয়ের নাড়ীগুলিকে সদায় বেদ সাগরে ডুবিয়ে রাখবে কারণ এরা সকলেই অত্যন্ত জ্ঞানবাহিনী পবিত্র নদী। বেদত্রয়ীরূপ জ্ঞানের পোশাক পরিধান করে নিজের নগ্নরূপকে ঢাকার জন্য যা শান্তময়, জ্ঞানময়, দোষরহিত, কল্মষহীন, জ্যোতির্ময় ও মুনিময় পরব্রহ্ম তাঁর ধ্যান করা উচিত। বিশুদ্ধ চিত্ত, শুদ্ধ ধন, প্রশস্ত কাল, উপযুক্ত বিধি, যোগ্য পাত্র এবং পরম ভক্তি—এইসব মানুষকে ইচ্ছিত ফল প্রদান করে উপযুক্ত পোশাকে সজ্জিত করে তোলে এবং অহংকার থেকে মুক্ত করে সদায় বেদের জগতে বিচরণ করার অধিকার দেয়। হে বেদ ভগবান—হে দয়াময় প্রভু--- আমার কাছে পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধকর্ম, দেবতাদের পূজা, মুনি- ঋষিদের তর্পণ করার জন্য যোগ্য কোনো বিত্ত, ধন বা অন্য কোনো সামগ্রী নেই, সুতরাং আমি সকলকে নমস্কার করি, তাঁরা আমার ভক্তিতেই তৃপ্তিলাভ করুন এবং আপনার পরমপদে আমাকে স্থিত করুন। আমি দুহাত আকাশে তুলে রেখে সদায় আপনার গুণকীর্তন করছি ও সর্বভূতের মঙ্গলের জন্য বেদযজ্ঞে নিজেকে আহুতি দিচ্ছি। কৃপা করে আমার অত্যন্ত জ্ঞানবাহিনী নাড়ীগুলিকে আপনার বেদসাগরের সাথে যুক্ত করে রাখুন। আমি যেন সদায় আপনার কল্পবৃক্ষের নীচে পঞ্চমুণ্ডীর আসনে পরম শান্তময় মূর্তির চরণরেণু হয়ে বিচরণ করি। ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়।। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযানের জয়।

No comments:

Post a Comment