বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৮৭) তারিখঃ—২০/ ০৫/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে যে যত নিজেকে সৎকর্মশীল চক্রবর্তী সত্তা
রূপে গড়ে তুলতে পারবে সে তত উন্নত সন্তানের পিতা হয়ে নিজেকে স্বর্গের দীপ্তিরূপে
দেখতে পাবে।]
বেদ যজ্ঞ বা জ্ঞানযজ্ঞ অভিযান চালিয়েই
মানুষকে নিজের চরিত্রের সংশোধন করতে হয়। চরিত্রের সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কোন
মানুষ নিজের ধর্ম পালন করতে সক্ষম হয় না। সন্তান- সন্ততি উৎপন্নের প্রক্রিয়ায় মা
বা নারী কেবল পাত্রের মতো একটি আধার, বাস্তবে পুত্র- কন্যা পিতারই, কারণ পিতা
নিজেই পুত্র- কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেন। যে পুরুষ নারীর গর্ভের উৎপাদক হন তিনি যদি
অধার্মিক – অজ্ঞ- পাষণ্ড, কিরাত, হুণ, যবন, অন্ধ, কঙ্ক, খশ, শক, ম্লেচ্ছ প্রকৃতির
হন তবে তাঁর সন্তান সেই স্বভাব নিয়েই জন্মলাভ করবে। তাই পিতা হবার আগে পুরুষকে
নিজের স্বভাবের পরিবর্তন ঘটিয়ে সহজ – সরল সত্যজ্ঞানের অধিকারী হয়ে নিজেকে সৎকর্মশীল
পুরুষরূপে প্রতিভাত করতে হয়। এই রূপ পুরুষের সন্তান উৎপন্ন করার আধার স্বাভাবিকভাবেই ধর্মশীলা হয়ে উঠেন সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার জন্য সত্ত্ব- রজ- তমগুণের উপর ভিত্তি করে। বর্তমান মানব সমাজে নারী- পুরুষ উভয়েই কামনা- বাসনাকে চরিতার্থ করতে গিয়ে নিজের ধর্মের কথা ভুলে
যাচ্ছেন। সেই জন্য নিজেদের সনাতন বংশের ধারাকে উন্নতির অভিমুখে নিয়ে না গিয়ে
অবনতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন এবং স্বর্গজ্যোতির পরিবর্তে কেবল নরকের অন্ধকার দেখছেন।
জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment