বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৬৮) তারিখঃ- ৩০/০৪/২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করবে সমস্ত পদার্থে অদ্বৈত- আত্ম- বুদ্ধি
রেখে, তাহলেই সহজেই বেদের সার কথা অন্তরে গেঁথে যাবে।]
পবিত্র মন নিয়ে বেদযজ্ঞ করতে করতে অদ্বৈত-
চিন্তায় ডুবে যাবে, তখনি সমস্ত প্রাণীকে নিজের সঙ্গে অভিন্ন দেখতে পাবে। যে প্রকারে ব্রহ্মপরায়ণ
ব্রাহ্মণ পরম মোক্ষপদ প্রাপ্ত হন, তেমনি তুমিও তখন
আত্মা, শত্রু এবং মিত্রাদিতে সমান ভাব রেখে নিজেকে সর্বগত জেনে মুক্ত পুরুষ হয়ে
উঠবে অন্তরে বেদের আলো নিয়ে। যেমন একই আকাশ শ্বেত- নীল ইত্যাদি নানারূপে দেখা যায়,
তেমনই ভ্রান্তদৃষ্টি সম্পন্নদের একই আত্মা বিভিন্ন-রূপে প্রতিভাত হয়। এই জগতে যা
কিছু আছে, তা সব একই আত্মা এবং অবিনাশী,
তার অতিরিক্ত আর কিছুই নেই; আমি, তুমি এবং এসবই আত্মস্বরূপ। অতএব ভেদ- জ্ঞানরূপ
মোহ ত্যাগ করে বেদযজ্ঞ করাটাই বেদজ্ঞ পুরুষের জীবন। বেদের সার কথায় হচ্ছে পরমার্থদৃষ্টির আশ্রয় নিয়ে
ভেদ- বুদ্ধি ত্যাগ করে মুক্ত অবস্থায় মহানন্দে সর্ব ঘটে- পটে বিচরণ করা। এই সমগ্র বিশ্ব সেই পরমাত্মার শক্তিদ্বারা ব্যাপ্ত;
তাই এঁকে ‘ বিষ্ণু’ বলা হয়। বিশ ধাতুর অর্থ হল প্রবেশ করা। সমস্ত দেবতা, মনু,
সপ্তর্ষি এবং মনুপুত্র ও দেবতাদের অধিপতি ইন্দ্রগণ—এঁরা সকলেই হলেন ভগবান
শ্রীবিষ্ণুর বিভুতি। এই বিভূতিগুলি একাত্মাকে ঘিরেই কাজ করে চলেছে। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়। ওঁ নমো
ভগবতে বাসুদেবায়।।
No comments:
Post a Comment