বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ
অভিযান(২৪৬) তারিখঃ—০১/ ০৪/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ--[বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও ধর্ম মানুষকে মুক্তির
স্বাধীনতা দেয়—ধর্ম মানুষকে আবদ্ধ করে না।]
যে নারী জাতির সংস্পর্শ ব্যতিরেকে পুরুষের
ধর্ম রক্ষা হয় না ও অন্তরে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলতে পারে না—সেই নারী জাতিকে ধর্মের
দোহায় দিয়ে অন্ধকার কুটিরে আবদ্ধ রাখা, একেবারে সংকীর্ণ মনের পরিচয়। ধর্ম অন্ধকার
জগত থেকে উদ্ধার করে মানুষকে আলোর সন্ধান দিবে ও সমস্ত সংস্কার ও বন্ধন থেকে মুক্ত
করবে। এই পৃথিবীর বুকে কত মানুষ আছে তারা এখনো ধর্মের অন্ধসংস্কারে আবদ্ধ, তাদেরকে
মুক্তির আলো দেখানোই হচ্ছে বেদের কর্মীদের বা পুরোহিতদের কাজ। এখানে জাত,পাত,
ধর্ম, মত বড় কথা নয়—বড় কথা হলো মানুষকে আলো বা জ্ঞানের পথে আনতে হবে--- তাদেরকে
মুক্ত করতে হবে অন্ধকার গুহা থেকে। ধর্ম – সামাজিক- রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে
দুর্বল শ্রেণিকে আরও নিচের দিকে ঠেলে দেওয়া মানুষের ধর্ম নয়। এই শ্রেণির মানুষকে
আগে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে আলোর পথে নিয়ে আসতে হবে আমাদেরকেই--- তা –না- হলে ফুলের
মতো সুন্দর পবিত্র ও নিষ্পাপ জীবনগুলিকে নিয়ে একশ্রেণীর মানুষ কেবল মজার খেলাই
খেলে যাবে, তাদেরকে আরও অন্ধকার রাজত্বের অভিমুখে ঠেলে দিয়ে। আমি নিজে সুবিধা ভোগ
করবো, আমার ছেলে-মেয়ে- বৌ সুবিধা ভোগ করবে—বাকী সকলে আমার অধীনে ভূতের মতো খেটে মরে
অন্ধকার জগতে আবদ্ধ থাকবে—তাদের কোন স্বাধীনতা থাকবে না- এ নীতি চলতে পারে না। মুখ
বুজে আদেশ- নির্দেশ পালন করবে—এসব চিন্তাধারা কোন ধর্মের বা বেদের চিন্তাধারা নয়।
এসব চিন্তাধারা কোন স্বার্থপর ব্যক্তির চিন্তাধারা। তাই বেদ যজ্ঞ করে সবায় মুক্ত
চিন্তার অধিকারী হয়ে জেনে নাও—ধর্ম মানুষকে মুক্ত করে—ধর্ম মানুষকে আবদ্ধ করে না।
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment