বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৫৭) তারিখঃ—১৯/ ০৪/ ২০১৮ আজকের আলোচ্য
বিষয়ঃ--[ ভারতবর্ষের রাজনৈতিক নেতা ও আমলাদের
স্বচ্ছ চরিত্র স্বচ্ছ –ভারত গড়ে তুলতে সক্ষম।]
ভারতবর্ষের
রাজনৈতিক নেতা ও আমলাদের প্রথমে দেশপ্রেমিক হবার জন্য জাতীয়জ্ঞান, মানবিক মূল্যবোধ,
নৈতিকজ্ঞান ও আত্মিকজ্ঞানের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এই প্রশিক্ষণ পেলেই তাঁরা পরমার্থ
ও প্রেমের, বুদ্ধিমত্তা ও নিষ্কপটতার, সৎপরামর্শ প্রদানের এবং আদেশ পালন করার, তেজ
ও মৈত্রীর এক বিশিষ্ট সমন্বয় সাধনের পথ দিয়ে স্বচ্ছ নাগরিক গড়ার পথে এগিয়ে যেতে
পারবেন। দেশের সামান্য সম্পদও যাতে অপচয় না হয় সেই দিকে সকল রাজনৈতিক নেতা ও আমলা
সচেতন থাকবেন নিজের বুদ্ধিমত্তা ও নিষ্কপটতার গুণ ও তেজের দ্বারা।
ভারতের
মাটিতে যিনি নিজের শির দেশের জন্যে উৎসর্গ করতেন তিনিই হতেন সর্দার বা নেতা। এখন
এই দেশের মাটিতে উল্টো পথে দেশের নেতা হচ্ছেন। নেতা হতে গেলে কোন গুণ থাক আর না
থাক প্রথমে কোটি কোটি টাকার মালিক হতে হবে। কোটি কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়ে প্রতি
বছর হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে সাধারণ মানুষের ভোট কেনার ব্যবস্থা করতে
হবে, সেই সাথে দেশবিরোধী, সমাজ বিরোধী, খুনীদের অর্থবলে কিনে রেখে সদা ভয়ের পরিবেশ
গড়ে তুলে রাখতে হবে, তবেই সে ভোটে জিতে দেশের নেতা হবে। কোন দলের একটি নেতাও নেই
যিনি সত্যের উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেন ও মানুষকে সৎ ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে
দেশপ্রেমী করে তোলার জন্যে সংগ্রাম করেন।
দুঃখের বিষয় দেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই দালালরা সক্রিয় হয়ে উঠতে থাকে দেশের দখল
নিয়ে দেশের সমস্ত সম্পদ নিজের কুক্ষিগত করার জন্যে। দেশের দালালরা আজ সফল হয়েছে
এবং তাঁরাই জনগণের নেতা হয়েছেন। তাই আপনারা নিজের নিজের বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে
দেখুন, দেশের বুদ্ধিজীবি মহল থেকে শুরু করে সাংবাদিক, লেখক, সরকারী কর্মচারী সকলকেই
এই নেতারা বশে নিয়ে এসেছেন ছলে বলে কৌশলে। মুক্ত চিন্তার অধিকারী মানুষের স্থান
কোন রাজনৈতিক দলে হয় না। অথচ এঁরাই ঋষির দৃষ্টি নিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার
জন্যে রাজাকে প্রেরণা দিতেন। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়। জয় ভারতমাতার
জয়।
No comments:
Post a Comment