Thursday, 12 April 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৫০) তারিখঃ--১২/ ০৪/ ২০১৮

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৫০) তারিখঃ—১২/ ০৪/ ২০১৮  
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদবৃক্ষের দুটি কাণ্ড, একটি কর্ম্ম কাণ্ড অপরটি জ্ঞান কাণ্ড কিন্তু শাখা- প্রশাখার শেষ নেই। বেদযজ্ঞ করে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম ও সমাজজীবনের উজ্জ্বলতা বিধান যে এক সনাতন ধর্মের অধীন ও বেদের আশ্রয়েই রয়েছে তা সকলকে জানাতে হবে, বিশ্ববাসীকে একমঞ্চে সঙ্ঘবদ্ধ করার জন্য।]
বিশাল এই পৃথিবীর সব দেশেই সনাতন ধর্মের প্রভাব ছিল ও আছে। কিন্তু সেই ধর্মের সঙ্ঘবদ্ধ রূপ কোন দেশেই নেই। তাই শ্রীশ্রীগীতার ন্যায় গ্রন্থ সনাতন ধর্মের মানুষগণ পড়েন না ও তার প্রচার করেন না। কোটি মানুষের মধ্যে যদি কেউ তার প্রচার করেন তবুও তাঁর সাথী কেউ হতে চান না। বেদের উপর নির্ভর করেই যুগ যুগ ধরে এই পৃথিবীর বুকে হাজার হাজার মুনি – ঋষি – অবতার- মহামানব সৃষ্টি হয়েছে, সনাতন ধর্মের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। শংকরাচার্য, গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর জৈন, গুরুনানক, প্রভু নিত্যানন্দ, রাজা রামমোহন, ঠাকুর পরমহংসদেব রামকৃষ্ণ,স্বামীবিবেকানন্দ সহ হাজার হাজার মহামানব এখনো সৃষ্টি হয়ে চলেছেন বেদের উপর নির্ভর করে। সনাতন ধর্মের উপর ভিত্তি করেই তাঁরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে চলেছেন কিন্তু সকলেই নিজেদের একে অপরকে ভিন্ন বলে মনে করছেন। সকলের মূল এক বেদ ও এক সনাতন ধর্ম এই সত্যকে ধরে রেখে প্রতিষ্ঠান গুলি একমঞ্চে স্থির হতে পারছেন না, নিজেদের দুর্বলতাকে পরিহার করে। বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, পার্সী ধর্ম কেন সনাতন ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে ? এখন সময় এসেছে বিশ্বের সনাতন ধর্মের সকল শাখা প্রশাখাকে এক মঞ্চে সঙ্ঘবদ্ধ করার। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।

No comments:

Post a Comment