Saturday, 14 April 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৫২) তাং ১৪/০৪/ ২০১৮

 বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(২৫২) তারিখঃ—১৪/০৪/ ২০১৮   আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-- [ বেদ যজ্ঞ করে সদায় আনন্দময় পরিবেশ রচনা করো কারণ –আনন্দ হচ্ছে তোমার জীবনের ধর্ম ও প্রকৃতির ফুটন্ত ফুল]
 বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও অহংশুন্য ও চাহিদাশুন্য অবস্থায় অপরকে আনন্দ দেওয়ার জন্যে কাজ করার মতো আনন্দ আর পৃথিবীতে কোনো কাজে নেই। তাই তোমরা  বাড়িতে বসে স্বার্থপরের মতো যদি নিজের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাক   বে জীবনে শুধু দুঃখকে টেনে আনবে কোনো আনন্দ জীবনে উপভোগ করতে পারবে না। আনন্দকে ধন-দৌলত টাকা-পয়সা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায় না। তাকে লাভ করার জন্য পবিত্র পরিবেশ গড়ে তুলতে হয় জ্ঞানের জগতে বাগিচা তৈরী করে। যে বাগিচায় বয়ে যাবে স্নিগ্ধ ঝর্ণাধারা পর্বত থেকে নেমে এসে—কত রকমের ফুল ফুটবে নিজের বাহার ও সৌগন্ধ নিয়ে ,কতরকমের ফলের বাগান থাকবে সেই উদ্যানে। সেখানে কোনো দুঃখকষ্ট—অনুতাপ—অনুশোচনা প্রবেশ করতে পারবে না—কেবল অনাবিল আনন্দময় জগত—জ্যোতির জগত—জ্ঞানের জগত। এই জগত তৈরী করতে পারে একমাত্র বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মীরা  বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তাদের হৃদয় মন্দিরে পরমাত্মাকে জাগ্রত রেখে। তাঁকে অভিভাবক করে তাঁর নির্দেশিত পথেই কেবল আনন্দময় জগতে সদা ফুটন্তফুল বিরাজ করে সকলকে মহানন্দে ধরে রাখার জন্যে। কেউ এখানে নিরানন্দে থাকে না—সকলেই এখানে এক ঈশ্বরকে ঘিরে নিজ নিজ অধিকার মতো কর্তব্য কর্মে ব্যস্ত। আনন্দ হচ্ছে প্রকৃতির ফুটন্তফুল, যা ঈশ্বরের মহাদান। এই আনন্দ না থাকলে পাখির কলরব কেউ শুনতে পেত না, শিশুর মুখে হাসি দেখার জন্য মা শত- দুঃখ—লাঞ্ছনা সহ্য করে আনন্দে সংসার করত না—সব কিছু শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো এই ফুটন্ত ফুল না থাকলে। আনন্দ-ই হচ্ছে জীবের জীবনের ধর্ম -- এই আনন্দ দান করে চলেছেন জীবকে সেই শিব যিনি সর্বভূতে আত্মা রূপে বিরাজমান। তোমরা সবাই সেই আনন্দের সন্তান—সন্ততি যাকে তোমাদের পিতা-মাতা মনের মধ্যে বহুযত্নে ধরে রেখেছেন বহু আশা নিয়ে। তাই তোমরা পিতা-মাতাকে যত আনন্দ দেবে নিজেকে সৎ কর্মশীল কর্মী রূপে গড়ে তুলে ততই তোমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ ধন্য হয়ে উঠবে। তিনিই তোমাদের পিতা—মাতার মধ্যে অবস্থান করে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, তোমাদের স-সত্য-সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপ দেখে বেছে তুলে নিয়ে যাবার জন্যে। ঊনপঞ্চাশটি জীবন্ত পৃথিবী ঘিরে চলছে তাঁর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সাতটি লোকে কর্মী নিয়োগ করার জন্য। তোমরা তাঁর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারলেই সাতটি লোকের যে কোনো লোকে উপযুক্ত মর্যাদার কর্মী রূপে নিয়োজিত হবে এতে কোনো ভুল নেই। তাই তোমরা সর্বত্র উপযুক্ত মর্যাদার বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী তৈরী করো বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে —তাহলেই তিনি তোমাদের সদা আনন্দলোকে ধরে রাখবেন। জয় বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞের জয়।  ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।    

No comments:

Post a Comment