বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৩/ ০২/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমেই
হিন্দুদেরকে একসুত্রে গেঁথে তুলে সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে হবে, এই দায়িত্ব ভারতের
সকলকেই নিতে হবে।]
===================================================== বেদ ভগবান আমাদের জন্মদাতা পিতা, বিধাতা হয়ে
আমাদের সাথেই রয়েছেন, এই বিশ্বাস সনাতন ধর্মের সকল মানুষের অন্তরের বিশ্বাস। তিনি বিশ্বের সকলের ধাম জানেন। তিনি এক ব্রহ্ম
হয়ে সকলের নাম ধারণ করে আছেন এবং সকলকে নিজের সনাতন বৃত্তের শক্তির মধ্যে ধারণ করে
আছেন। তাই বেদ যজ্ঞ
করেই সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের ছোট- বড় সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে একসুত্রে গেঁথে তুলতে
হবে। শংকরাচার্য- শ্রীচৈতন্যদেব হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার জন্য লুপ্তপ্রায় মঠ- মন্দিরগুলিকে প্রাণ দান করেছিলেন। বর্তমানে
হিন্দু জাতির কোন কিছুর অভাব নেই- অভাব কেবল একতার। এই একতা আনতেই হবে হিন্দুদেরকে
ধর্মীয় ভাবে- সামাজিক দিক দিয়ে এবং রাজনৈতিক দিক দিয়ে জাগিয়ে তুলে । রাজনৈতিক দিক
থেকেও হিন্দুদের একতার বিশেষ প্রয়োজন। কারণ বিদেশীরা ভারতীয়দের প্রথমে রাজনৈতিক
-দিক থেকে পরাস্থ করে নিজেদের ধর্মে ধর্মান্তরিত করে হিন্দুদের দুর্বল থেকে
দুর্বলতর করে ফেলেছে। তাই বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে হিন্দুদেরকে এক মঞ্চে আনতেই হবে তা-
না- হলে ভারত আবার মোগল- পাঠান সম্প্রদায়ের হাতে চলে যাবে , তখন
ভারতের বুকে আর হিন্দু ধর্মের অস্তিত্ব থাকবে না। হাজার বছর আগে যে ভারতের বুকে
হিন্দু- বৌদ্ধ- জৈন ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষের চিহ্ন ছিল না, সেই
ভারতবর্ষ কিভাবে অন্য ধর্মের মানুষেরা দখল করে নিল? এরা তো সকলেই হিন্দু ধর্মের মানুষ ছিল। কিভাবে
নিজের জাত- ধর্ম - দেশের কথা এরা
ভুলে গেলো। এই চক্রান্ত আবার চলছে। তাই আর যেন কেউ চক্রান্তের শিকার না হয় তাই বেদ
যজ্ঞের মাধ্যমে সকলকে সত্য জানিয়ে সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলকেই নিতে
হবে। সনাতন ধর্মের ক্ষয়
রোধ না করতে পারলে ভারতবর্ষ পুনঃ খণ্ড খণ্ড রাষ্ট্রে পরিণত হবে। কেনো মানুষ
জন্মগতভাবে সনাতন ধর্ম নিয়ে এই বিশ্বে আবির্ভাব হবার পরেও তাকে ইসলাম- খৃষ্টান হতে
হবে? এই পৃথিবীতে মানুষ বাদে অন্য কোন জীব – জন্তু- গাছ-পালা – পশুপাখী- নদ- নদী-
সাগর- পাহাড় – পর্বতকে তো সনাতন ধর্ম ত্যাগ করাতে কেউ পারেন না। সনাতন ধর্মের মানুষের কাছে তাই ঈশ্বরের সমস্ত
সৃষ্টিই সনাতন ধর্মের অন্তর্ভুক্ত এবং মানুষের পূজনীয়। সনাতন ধর্মের ঋষিদের কাছে
ঈশ্বর এক। কিন্তু তাঁকে বহুরূপে দেখা যায়, যেমন সকল মানুষের দেহ একই উপাদান দিয়ে
সৃষ্টি এবং সকলের মধ্যেই একই প্রাণ অবস্থান করছে, কিন্তু সকল মানুষকে আমরা আলাদা
আলাদা রূপে- গুণে দেখতে পায়। তেমনি এই বিশ্বে সব জাতির মানুষ এক হলেও যারা
নিজেদেরকে সনাতন ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তারা মানবিক রূপ –গুণ – ধর্ম হারিয়ে
ফেলে অমানুষে পরিণত হয়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।
No comments:
Post a Comment