বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০২/ ০২/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে সত্য- প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ বিশ্বের
প্রতিরূপে এমন কি বৃক্ষলতাদিতেও চিন্ময় ভগবানকে দেখার উপাসনা করতে থাকো।
বর্ণমালা না শিখে যেমন কেউ বাক্য রচনা করতে
বা কোন বাক্য পাঠ করতে পারে না তেমনি মূর্তি প্রতিষ্ঠা না করে কেউ ঈশ্বরের কথা
জানতে পারে না। যারা প্রতীকবিহীন সাধনা করে তত্ত্বভাবের উপর ভর করে, তাতেও সাধকের
অন্তরে ঈশ্বরের একটা রূপ ফুটে উঠে। তাই বেদ যজ্ঞ করবে কোন দেবদেবী বা মহাপুরুষের
মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে। তাঁর সামনে বসে ধ্যান ও পূজা করতে করতেই, সেই মূর্তির প্রাণ
প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়। তখন নিজের প্রতি অঙ্গে অঙ্গে ইষ্টদেবতার অঙ্গ দর্শন হতে থাকে। নিজ
ইন্দ্রিয়ের সাথে অন্তর্দেবতার ইন্দ্রিয়গুলির যোগসূত্র স্থাপন করার জন্যই পূজা –
ধ্যান- আরতি করতে থাকবে তাহলের মৃন্ময় ভগবান চিন্ময় হয়ে তোমার সাথে লীলা করবেন।
একটা- দুটা মন্ত্র অর্থ সহ মুখস্থ করে নিয়ে শ্রদ্ধা সহকারে তা উচ্চারণ করে
প্রতিদিন দিনে কমপক্ষে তিনবার বেদযজ্ঞ বা পূজা করবে। ভোগ-রাগ ইত্যাদি না থাকলেও
কেবল একটা ধুপকাঠি দিয়েও পূজা বা যজ্ঞ করতে ভুলবে না। নিজের অন্তর্দেবতায় যে তোমার
পূজার ঘরের দেবতা তা সদায় মনে রেখে তাঁকে কখনো দুঃখ দিবে না তাহলে তুমিও দুঃখিত
হবে না। “ খুলে দে মা চোখের ঠুলি, হেরি মা তোর অভয় পদ”। মায়ের অভয় পদ বা পরমপদ
দর্শন হলেই জীবনের সব দুঃখ ঘুচে যায়। জয় মা কালী জয় মা তারা জয় মা কালী জয়।।
No comments:
Post a Comment