বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৮/ ০৩/ ২০১৭ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করতে এসে যারা ধনসম্পদে মদমত্ত হয়ে থাকে,
তাদের বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়ে যায় এবং কালের হাতে বন্ধী হয়ে তারা, শ্রীহীন ও রিক্ত হয়ে
পড়ে।]
বেদ যজ্ঞের দ্বারা মন ও ইন্দ্রিয়সকলকে
বশীভূত রেখে সংযত আচরণ করে যারা রাজধর্ম পালন করে তারাই প্রকৃত রাজসুখ ভোগ করতে
সক্ষম হয় এই পৃথিবীর বুকে। বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শরণাগতের সকল দুঃখ ও ভয় হরণ করে
থাকেন। আমরা তাঁর আশ্রয় নিয়ে বেদ যজ্ঞ করতে ভুলে যায়, তাই সাংসারিক দুঃখের কটু
স্বাদ অনুভব করে ক্লান্ত হয়ে পড়তে বাধ্য হই। এই মানবদেহ নিয়ে যে সংসার, সেই মানব দেহ দিন দিন
ক্ষীণ হয়ে যেতে থাকে। তাকে তো রোগের জন্মভূমি আখ্যা দেওয়াই শ্রেয়। তাই এই মানবদেহ
দ্বারা রাজ্যভোগ বা সাংসারিক আনন্দভোগ করবার স্পৃহা বিবেকশীল ব্যক্তি আশা করে না। মানব
দেহদ্বারা যারা সুখভোগের দিকে এগিয়ে যায় তারা কেবল মরীচিকার পিছনে ছুটে চলে। কেবল
তাই নয়, কর্মফলে মৃত্যুর পর যে –স্বর্গলোক প্রাপ্তির কথা বলা হয়ে থাকে, সেই কামনাও
অন্তঃসারশূন্য, কেবল শুনতেই সুমধুর। কালের গতি বিচিত্র ও দুরন্ত। কালের প্রভাবে কে
কখন শ্রীহীন ও রিক্ত হয়ে পড়বে তা কেউ জানতেও পারে না—তাই মানুষের এত অহংকার। এই
অহংকার বেদ ভগবান কৃপা করে যখন চূর্ণবিচূর্ণ করে দেন, তখনি মানুষের অন্তরে
জ্ঞানরূপী প্রণত জনের ক্লেশনাশক শ্রীকৃষ্ণ, বাসুদেব, হরি পরমাত্মা এবং গোবিন্দ
গুরুরূপে পথ প্রদর্শন করার জন্য জেগে উঠেন। তখনি মানুষ তাঁর অক্ষয় স্মৃতি ধারণ
করতে চাই। জয় বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।
No comments:
Post a Comment