Thursday, 8 November 2018

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান ৪৫৯ তারিখঃ-- ০৮/ ১১/ ২০১৮

   বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৪৫৯) তারিখঃ—০৮/ ১১/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদযজ্ঞ করে দেবমাতা অদিতির ন্যায় সদায় বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে যাও।]
দেবমাতা অদিতির নির্দেশে দেবরাজ ইন্দ্র অত্যন্ত আদর- যত্ন সহ শ্রীকৃষ্ণের পূজা করতেন। দেবমাতা বেদযজ্ঞের মাধ্যমে সদায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্তুতি করতেন এবং সকলকে সেই প্রার্থনা – পূজা – স্তব- স্তুতি করার নির্দেশ দিতেন। তিনি বলতেন—হে ঈশ্বর; আপনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব নামে নিজ মূর্তির দ্বারা জগতের উৎপত্তি, স্থিতি ও নাশের কর্তা এবং আপনি কর্তাদেরও প্রভু। দেবতা, দৈত্য, যক্ষ, রাক্ষস, সিদ্ধ, পন্নগ (নাগ), কুষ্মাণ্ড, পিশাচ, গন্ধর্ব, মনুষ্য, পশু, মৃগ, পতঙ্গ, সরীসৃপ (সাপ), বহু বৃক্ষ, গুল্ম- লতা, সকল তৃণজাতি এবং স্থুল- মধ্যম- সূক্ষ্ম ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম যত দেহ- ভেদ পরমাণু আশ্রিত আছে, সেসবই আপনি।
হে প্রভো; আপনার মায়াই পরমার্থতত্ত্ব না জানা পুরুষদের মোহিত করে, যাতে মূঢ় ব্যক্তি অনাত্মাতে আত্মবুদ্ধি করে বন্ধনদশা প্রাপ্ত হয়। হে নাথ; পুরুষ যে অনাত্মাতে আত্মবুদ্ধি এবং ‘আমি আমার’ ভাব প্রাপ্ত করে, সেসব আপনার জগজ্জননী মায়ারই বিলাস। হে নাথ; সনাতন ধর্ম পরায়ণ ও স্বধর্মপরায়ণ ব্যক্তি আপনার আরাধনা করেন, তিনি নিজ মোক্ষের জন্যই এই সম্পূর্ণ মায়া পার করে যান। ব্রহ্মাদি সর্বদেবগণ এবং মনুষ্য ও পশু ইত্যাদি সবই বিষ্ণুমায়ারূপ মহা আবর্তে পড়ে মোহরূপ অন্ধকারে আবৃত রয়েছে। হে ভগবান; জন্ম- মৃত্যু চক্রে আবর্তিত এই মানব- জীবের ভব- বন্ধন বিনাশকারী আপনার আরাধনা করেও যারা নানা প্রকার কামনা আকাঙ্ক্ষা করে, সেসব আপনারই মায়া।‘ আমি বেদযজ্ঞ করছি—আমি জ্ঞানী’ আমার এই অজ্ঞানতার বিনাশ করুন। জয় বেদ  ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়।।

No comments:

Post a Comment